প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৪২ এএম
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৫৪ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে চীনা যাত্রীদের কোভিড নেগেটিভ ফলাফল দেখাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
চীন থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এরই মধ্যে আগামী সপ্তাহ থেকে দেশটির সীমান্তও পুরোপুরি উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। যার কারণে দেশটি থেকে আগতদের করোনা পরীক্ষা করিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন কর্তৃপক্ষ নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
চীনে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত, জাপান, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ানও একই রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে সর্বশেষ রাষ্ট্র হিসেবে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রায় তিন বছরের কঠোর কোভিড বিধিনিষেধের পর তা শিথিল করতে যাচ্ছে বেইজিং। এরই অংশ হিসেবে নতুন বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে যাত্রীরা বেশ সহজে সফর করতে পারবে দেশটিতে। কিন্তু দেশটিতে এ সব বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। যা অন্য দেশগুলোকে বেশ উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, বৈজ্ঞানিক উপায়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশটি। তবে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দেশটির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অকারণে বাড়াবাড়ি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে চীন, হংকং ও ম্যাকাও থেকে দেশে প্রবেশ করতে বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। আর সে পরীক্ষার ফলাফল অবশ্যই নেগেটিভ হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চীন থেকে দেশে আসা যাত্রীদের সর্বোচ্চ দুই দিন আগে কোভিড পরীক্ষা করতে হবে এবং এর ফলাফল নেগেটিভ দেখাতে হবে। ভ্রমণের ১০ দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিরা নেগেটিভ ফলাফলের পরিবর্তে করোনা থেকে সেরে ওঠার কাগজপত্র দেখিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, তারা সার্বক্ষণিক এ পরিস্থিতি নিরীক্ষণ করবে এবং প্রয়োজনে এর পদ্ধতির সমন্বয় করবে।
চীনে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।