প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২২ ১২:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২২ ১৩:৫০ পিএম
পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত সিয়াচেন হিমবাহ
ভারত শাসিত কাশ্মীরের সিয়াচেন হিমবাহে বরফধসে ৩৮ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া দেশটির এক সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সেনার নাম চন্দ্রশেখর হারবোলা।
বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৮৪ সালে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সিয়াচেন হিমবাহে একটি টহল অভিযানের সময় ১৯ জন সহকর্মীসহ চন্দ্রশেখর হারবোলা ভয়াবহ তুষারধসে আটকা পড়েন। পরে ১৫ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পাঁচজন নিখোঁজ থাকেন।
ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, টহল দিতে গিয়ে একটি সেনা দল হারবোলার মৃত দেহের সঙ্গে আরও একটি দেহ উদ্ধার করেছে। তবে সেটি কার দেহ তার পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র বলে পরিচিত সিয়াচেন হিমবাহে ঝড় এবং তুষারপাতের কারণে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেরই বহু সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।
উত্তরাখণ্ডের প্রদেশের হিমালয় অঞ্চলের হলদওয়ানি জেলায় বসবাসকারী হারবোলার পরিবার বলেছে, এ সন্ধান তাকে শেষ বিদায় জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে। হারবোলার গ্রামে পূর্ণ সামরিক সম্মানে শেষকৃত্য করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
তবে এ হিমবাহে কয়েক দশক পর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা এটি প্রথম নয়। এর আগে ২০১৪ সালে ২১ বছর পর তুকারাম ভি পাটিল নামে এক সেনাসদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সিয়াচেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি দ্বন্দ্বপূর্ণ এলাকা। সিয়াচেন হিমবাহ দখলে রাখতে গিয়ে ১৯৮৪ সাল থেকে লড়াই করে আসছে প্রতিবেশী দুই দেশ। যেখানে প্রত্যেক বছর প্রাণ হারাচ্ছেন সেনারা। আর এ মৃত্যুর বেশির ভাগেরই হয়েছে চরম কঠিন প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে।
২০১২ সালে সিয়াচেন হিমবাহের কাছে একটি তুষারধসে কমপক্ষে ১২৯ জন পাকিস্তানি সেনা নিহতের ঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালে ভারতের ১০ সেনা এবং ২০১৯ সালে আরও চার সেনা সদস্য মারা যান একই কারণে।
এসব কারণে অঞ্চটিকে সামরিক বাহিনীমুক্ত করার জন্য আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় দুই দেশ।
প্রবা/এনএস/এসআর