প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৪৯ পিএম
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫১ পিএম
বায়রাক্তার টিবি-২ ড্রোন। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্ক থেকে বায়রাক্তার টিবি-২ অ্যাটাক ড্রোন কেনার ঘোষণা দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ আলবেনিয়া। এর মাধ্যমে বায়রাক্তার বহরে যুক্ত করা দেশের তালিকায় আলবেনিয়ার অবস্থান হতে যাচ্ছে ২৭তম। এর আগে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডসহ কাতার, আজারবাইজান, মরক্কো, কিরগিজস্তান ও তুর্কমেনিস্তানসহ ২৬ দেশের সঙ্গে রপ্তানি চুক্তি করেছে।
এরই মধ্যে তুরস্কের এই ড্রোনটি সিরিয়া, লিবিয়া, কারাবাখ ও সবশেষ ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে বলে দাবি করেছে তুরস্কের গণমাধ্যমগুলো।
ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা জানিয়েছেন, যে ৩টি বায়রাক্তার টিবি-২ ড্রোন কেনার চুক্তি করা হয়েছে, তা হাতে পেলে আপাতত পুলিশকে সাহায্য করতে ব্যবহার করা হবে, একই সঙ্গে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে এগুলো কার্যক্রম চালাতে প্রস্তুত থাকবে।
তবে তিনি এই ড্রোন নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান বায়কারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেছেন যে এই ড্রোনগুলো কখনোই যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে না।
বাইকারের প্রধান নির্বাহী হালুক বায়রাক্তার, যিনি একই সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের জামাতা। তিনি এক টুইটবার্তায় চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা আলবেনিয়ার সঙ্গে একটি রপ্তানি চুক্তি সাক্ষর করেছি। যে দেশটির সঙ্গে আমরা বহু শতাব্দি একসঙ্গে হেটে এসেছি এবং মজবুদ ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সম্পর্ক ভাগ করে নিয়েছি। ’
তবে আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও বাইকারের প্রধান নির্বাহী কেউই নিশ্চিত করেননি যে কবে নাগাদ আলবেনিয়া ড্রোনগুলো হাতে পাবে বা নতুন করে আর কোনো ড্রোন আলবেনিয়া কিনবে নাকি।
তবে রামা বলেছেন, ড্রোনগুলো সশস্ত্র এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকবে, এ ছাড়া ড্রোনগুলো বলকান অঞ্চলের ভূখণ্ড পর্যবেক্ষণে ব্যবহার করা হবে, এছাড়া গাঁজা বাগান শনাক্ত করা এবং দাবানল ট্র্যাক করার ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে পারবে এগুলো।
ড্রোন চালানোর জন্য আপাতত প্রায় ৩০ জন আলবেনীয়কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২০০৯ সালে ন্যাটোতে যোগদানকারী আলবেনিয়ার কাছে হেলিকপ্টার আছে তবে কোনো যুদ্ধবিমান নেই।
বায়রাক্তার টিবি-২ ড্রোনের ডানার দৈর্ঘ্য ১২ মিটার (৩৯ ফুট)। এটি লেজার গাইডেড বোমা বহন করতে পারে এবং ট্যাংক ও আর্টিলারি ধ্বংসের সক্ষমতার পাশাপাশি এটি ২৫ হাজার ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উঠতে পারে।
বায়কার কোম্পানি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪০০টির মতো টিবি-২ ড্রোন তৈরি করেছে তারা। বর্তমানে বছরে ২০০টি বায়রাক্তার ড্রোন তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। তবে এর সিইও আগে বলেছিলেন, এ সংখ্যাটি ৫০০তে উন্নীত করার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।