প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৫৬ পিএম
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৫৩ পিএম
চীনের হাসপাতালগুলোয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
চীনের সাম্প্রতিক জিরো কোভিড নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে এরই মধ্যে তা শিথিল করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের শ্বাসযন্ত্র বিশেষজ্ঞ বলছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চীনে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা গুরুতর আকারে বাড়তে পারে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
এর আগে রয়টার্স নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনজুড়ে কোভিড বিধিনিষেধের শিথিলতায় সংক্রমণ বেড়েছে এবং সম্ভবত শীতকালে এর সংক্রমণ আরও বাড়বে। কিছু অনুমান এমনও বলছে, চীন ২০২৩ সালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০ লাখের বেশি মৃত্যু দেখতে যাচ্ছে।
পিকিং ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট হাসপাতালের শ্বাসযন্ত্র বিশেষজ্ঞ ওয়াং গুয়াংফা মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই দ্রুত কাজ করতে হবে, স্পেশাল ক্লিনিক, জরুরি ও গুরুতর চিকিৎসাব্যবস্থা প্রস্তুত করতে হবে।’
ওয়াংয়ের মতে, হাসপাতালগুলোকে এখনই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইসিইউ শয্যা বাড়াতে হবে। জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড-১৯ বৃদ্ধি পাবে, এরপর কমতে থাকবে। ফেব্রুয়ারির শেষ ও মার্চের শুরুতে জীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
একই সঙ্গে পিকিং ইউনিভার্সিটির এই গবেষক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভাইরাসটির মিউটেশন হয়ে আরও ভয়াবহ আকারে মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
তবে চীনের জিরো কোভিড নীতি দেশটির অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হলেও এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাগরিক জীবনে চাপ সৃষ্টি করলেও বৈশ্বিক মহামারির চলমান সময়েও দেশটির জনগণ ভাইরাস থেকে বেশ নিরাপদেই ছিল।
কিন্তু এরই মধ্যে চীনের পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। দেশটির কিছু হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যায় এখন আর নতুন রোগী জায়গা দেওয়ার উপায় নেই। কিছু শহরে ওষুধ ও রক্তের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফার্মেসিগুলোর তাক খালি হয়ে গেছে। দেশের উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম পর্যন্ত, শ্মশানের কর্মীরা ফ্রান্স-প্রেসকে বলেছেন যে তারা মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ায় রীতিমতো লড়াই করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীনকে তারা সহায়তা করতে প্রস্তুত।