প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫ ১৩:৩৮ পিএম
পাকিস্তানের চার প্রদেশে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যায় ও ঘরবাড়ি ধসে আরও অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল রবিবারের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ও শনিবার ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যায় হড়কা বান ও ঘরবাড়ি ধসে দেশটির চার প্রদেশে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়। বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার লাহোরে বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে ও আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। শহরের বিভিন্ন স্থানে দেয়াল ধসে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয় এবং ১০ জন আহত হন। প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের মধ্যে একটি বিলবোর্ডে ধসে এক মোটরসাইকেল চালক ও তার পরিবারের ওপর গিয়ে পড়ে। এতে ওই মোটরসাইকেল চালক নিহত হন এবং তার স্ত্রী ও সন্তান আহত হন। আহতদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে লাহোরের বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপরে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ আহত হননি।
পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন করাচি পিপিপির এক নেতার ছোট ভাই। এই নেতা পাকিস্তানের সাবেক আইনপ্রণেতা।
আরেক ঘটনায় নগরীর ক্লিফটন এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভেজা বৈদ্যুতিক খাম্বায় স্পর্শ লেগে ত্রিশোর্ধ আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
উত্তরাঞ্চলীয় গিলগিট বালতিস্তানে গিলগিট শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের ঐতিহাসিক পর্যটনস্থান কার্গাহ নালায় হড়কা বানে ভেসে গিয়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়।
এদিকে পাঞ্জাবের শরিফপুরায় বৃষ্টির মধ্যে একটি মাটির ঘর ধসে দুইজন নিহত ও অপর একজন আহত হন।
রবিবারের ২৪ ঘণ্টায় পাঞ্জাবের বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাত রেকড করা হয়েছে। এরমধ্যে লাহোর বিমানবন্দর ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।