প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫ ১৭:১৮ পিএম
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি, কুয়েত, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে আগামীকাল শুক্রবার পালিত হবে ঈদুল আজহা। পশুর হাটগুলোতে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে বেচাকেনা। প্রবাসীদের বাসা বাড়িতে লালন-পালনের ব্যবস্থা না থাকায় কোরবানির জন্য পশু কিনে খামারে রেখে আসতে হয় ক্রেতাদের। তবুও ঈদের আগেই কোরবানির পশু কিনেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা।
কুয়েতের কাবাদ, সেবদি, জাহারা, আবদালিসহ সরকারি ভাবে নির্ধারিত স্থানে পশু বেচাকেনা হয়। এসব স্থান থেকে পছন্দের পশু কিনতে আসেন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা।
এসব স্থানে পাওয়া যাচ্ছে কুয়েত, সৌদি, ইরান, সোমালিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দুম্বা গরু ও ছাগল। তবে তুলনামূলক অনেক কম। এখানকার পশুগুলোর মালিক কুয়েতি হলেও বেশির ভাগ পশুর পরিচর্চা ও বেচাকেনা করেন বাংলাদেশি ও মিশরীয় নাগরিক ।
কুয়েতে উটের চেয়ে গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। দেশ ও সৌন্দর্য্য অনুযায়ী একটি গরু ২৫০ দিনার থেকে শুরু করে এক হাজার ৫০০ দিনারে বিক্রি হচ্ছে। দুম্বা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ দিনার থেকে ২৫০ কুয়েতি দিনারে। উট বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ দিনারে।
বাংলাদেশের মতো যেখানে সেখানে পশু রাখা যায় না কুয়েতে। একারণে সবাই চেষ্টা করে ঈদের আগের দিন বিকেলে কিংবা ঈদের দিন সকালে পশু নিয়ে যেতে। অনেকে চার পাঁচদিন আগে পশু কিনলেও খামারে রেখে যায়। প্রবাসীরা পরিবার ছাড়া কোরবানি করলেও তাদের সঙ্গী হয় বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয়স্বজনসহ অন্যান্যরা।