প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৫ ০১:৫৪ এএম
সিয়েরা লিওনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জুলদেহ জালোহ
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন সিয়েরা লিওনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জুলদেহ জালোহ। একই সঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নে বিষয়টি উত্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
জালোহ বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা জানি, এটি কেবল নিরাপত্তার উপরই নয়, দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনার উপরও এর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে সিয়েরা লিওন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, আফ্রিকান ইউনিয়নে আমাদের অবস্থান এবং ওআইসিকে ব্যবহার করবে। কারণ এটি কেবল এশিয়ার নয়, আমাদের প্রতিবেশীরও একটি সমস্যা।’
এএনআই জানায়, এর আগে পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উপমন্ত্রী আলঘালি। তিনি বলেন, ‘"সিয়েরা লিওনে আমাদের একটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত ভারতীয় প্রবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা আমাদের দেশের অর্থনীতি এবং ভারতের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার বিষয় এবং এপ্রিলে সংঘটিত সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরা সহিংসতা এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির নিন্দা জানাই। আমরা এই ক্ষতির জন্য ভারতের সাথে সমবেদনা জানাতে চাই।’
শিবসেনা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় ভারতীয় প্রতিনিধিদল পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্রচার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৮-৩০ মে সিয়েরা লিওন সফর করে।
প্রতিনিধিদলটিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ বনসুরি স্বরাজ, অতুল গর্গ, মনন কুমার মিশ্র, ইউনিয়ন মুসলিম লীগের ইটি মোহাম্মদ বশির, বিজু জনতা দলের সস্মিত পাত্র, বিজেপি নেতা এসএস আহলুওয়ালিয়া এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সুজন চিনয় রয়েছেন।
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় এক নেপালি নাগরিকসহ ২৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছিল। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৭ মে ভোরে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (পিওজেকে) নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।