প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫ ১৬:০৯ পিএম
পাকিস্তানের উত্তরপূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন । এ সময় আরও ৪৩ জন আহত হন। এছাড়া ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে এসব এলাকায় বেশ কিছু বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মিরে চার নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। আর উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়ায় তিনজন মারা গেছেন। অন্যদিকে, পাঞ্জাবে আরও দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা হারুন রশিদ এএফপিকে বলেন, বন্যা-ভূমিধসে কবলে পড়া অন্তত একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে সেখানকার একটি গ্রামের ১২টি বাড়ি ও একটি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর আগে, গত শনিবার দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ঝড়ে অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন আরও শতাধিক। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চরম বৈরী আবহাওয়ার এসব ঘটনা পাকিস্তানে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে শুরু হওয়া এই ঝড়ো আবহাওয়া আগামী শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। পাকিস্তানে এপ্রিল ও মে মাসে অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রার ঘটনা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও দেশটিতে গ্রীষ্মকাল শুরু হয় জুনের প্রথমদিকে।
গত এপ্রিলে পাকিস্তানের কিছু এলাকায় তাপমাত্রার রেকর্ড হয়। ওই সময় দেশটিতে তাপমাত্রা ৪৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (প্রায় ১১৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছায়। তীব্র গরমের কারণে পাঞ্জাব ও দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে আগাম গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।