প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫ ১৫:৫১ পিএম
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের খুজদার বিভাগে স্কুলবাসে বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ হামলায় আরও ৩৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন খুজদারের সরকারি কর্মকর্তা ইয়াসির ইকবাল দস্তি। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু আর বাকি দুজন প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে।
বুধবার (২১ মে) সকালে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলটির বাসে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
ইয়াসির ইকবাল বলেন, বাসটি আর্মি পাবলিক স্কুলের। বাসটি যখন শিশুদের আনছিল তখন এতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী হামলার নিন্দা জানিয়ে দাবি করে, এ ঘটনায় ‘ভারতের প্রক্সিরা’ জড়িত। তবে তারা দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও হামলার ‘কঠোর নিন্দা’ জানিয়ে ভারতকে দোষারোপ করেছেন। তবে ভারত পাকিস্তানের এমন অভিযোগের ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় যে পাঁচজন নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজন শিশু আর বাকি দুজন প্রাপ্তবয়স্ক। হামলার তীব্রতা বেশি হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
বেলুচিস্তানে সাধারণত এমন হামলা চালিয়ে থাকে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তবে বুধবারের হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি।
পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শত্রুরা নির্দোষ শিশুদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে। স্কুল বাসে হামলা শত্রুদের জঘন্য ষড়যন্ত্র, যেটির মাধ্যমে পাকিস্তানে তারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়।’
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। তা সত্ত্বেও সেখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি দরিদ্র। বেলুচিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে চায়।
স্কুলবাসে এ হামলার কয়েকদিন আগেই বেলুচিস্তানের কিয়াল্লা আব্দুল্লাহর একটি বাজারে বোমা বিস্ফোরণে চারজন নিহত হন।
পাকিস্তানের দাবি বেলুচ লিবারেশন আর্মিকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে থাকে ভারত। তবে নয়াদিল্লি সবসময় এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
আলজাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার ইসলামাবাদ থেকে জানিয়েছেন, স্কুলবাসে যে হামলা হয়েছে সেটিকে ‘পাকিস্তান বেশ গুরুত্বের’ সঙ্গে নিচ্ছে। পাকিস্তান সাধারণত এসব হামলার জন্য বেলুচ লিবারেশন আর্মিকে দায়ী করে। তাদের অভিযোগ এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ভারত মদদ দেয়।
গত মার্চে বেলুচিস্তানে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা আস্ত একটি ট্রেন ছিনতাই করে। যেখানে ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়।