প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:০৩ পিএম
সালমান রুশদি। ছবি: সংগৃহীত
সালমান রুশদির নতুন উপন্যাসের অংশবিশেষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিকী ‘দ্য নিউইয়র্কার’। সোমবার ম্যাগাজিনিটির অনলাইনে প্রায় সাত হাজার শব্দের ওই অংশটি প্রকাশ করা হয়। দ্য নিউইয়র্কারের ১২ ডিসেম্বরের মুদ্রণ সংখ্যায় তা ছাপা হবে।
‘আ স্যাকফুল অব সিডস’ বা এক বস্তা বীজ নামের অংশবিশেষটি রুশদির নতুন উপন্যাস ‘ভিক্টরি সিটি’ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। উপন্যাসটিতে ১৪তম শতকের ভারতের এক নারীর গল্প বলা হয়েছে। বলার ধরনটি মহাকাব্যিক। নিজের উপন্যাসের অংশবিশেষ দ্য নিউইয়র্কারে প্রকাশের বিষয়টি এক টুইটে নিশ্চিত করছেন সালমান রুশদি।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিক্টরি সিটির প্রকাশক যুক্তরাষ্ট্রের পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউস। তারা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে উপন্যাসটি বাজারে আনবে। এটি সালমান রুশদির ১৫তম উপন্যাস। গত ৯ আগস্ট নিজের সর্বশেষ উপন্যাসটির প্রকাশ নিয়ে এক টুইট করেছিলেন ৭৫ বছর বয়সি সালমান রুশদি।
এর তিন দিন পরেই নিউইয়র্কের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক সাহিত্যসভায় ছুরিকাঘাতের শিকার হন রুশদি। ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার আগ মুহুর্তে দর্শকসারি থেকে এক তরুণ দৌঁড়ে এসে ছুরি দিয়ে রুশদিকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। দু-একটি আঘাতের পরই রুশদি মেঝেতে পড়ে যান। তারপরও ওই তরুণ রুশদির তলপেট ও ঘাড়ে আঘাত করতে থাকেন। ঘটনাস্থলেও আহত রুশদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে হেলিকপ্টার নিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রুশদিকে আঘাতকারী ২৪ বছর বয়সি তরুণের নাম হাদি মাতার। লেবাননের বংশোদ্ভুত হাদি মাতার যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্জি রাজ্যের বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন হাদি মাতার।
অক্টোবরে রুশদির এজেন্ট (প্রকাশনা বিষয়ক সহকারী) অ্যান্ড্রু ওয়াইলি জানান, ছুরিকাঘাতের ফলে সালমান রুশদি একটি চোখের দৃষ্টি ও এক হাত ব্যবহারের ক্ষমতা হারিয়েছেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক সালমান রুশদি ১৯৮৮ সালে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ নামের তার বহু আলোচিত উপন্যাসটি লেখেন। বইটিতে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করা হয়েছে, এমন অভিযোগে রুশদিকে হত্যার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি।
এরপর অনেক বছর আত্মগোপনে থাকেন রুশদি। গত ২০ বছর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় রুশদি দেশটির স্বাভাবিক (ন্যাচারালাইজড) নাগরিকে পরিণত হয়েছেন।