কাশ্মিরে হামলা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩০ এএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১১ পিএম
ভারতশাসিত কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কাশ্মিরের এ হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং এ ঘটনায় পাকিস্তানের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত। তবে কাশ্মিরের এ হামলা ‘সাজানো’ ঘটনা বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। অবশ্য এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ সামনে আনেনি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী এ দেশটি।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পর্যটক হত্যাকাণ্ড ছিল ‘পরিকল্পিত একটি ঘটনা’।
তার ভাষ্যমতে ‘আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করি এটি একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন, অর্থাৎ নিজেরাই ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা।‘ তবে তিনি এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
আসিফ আরও বলেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সক্রিয় কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো ধরনের সংযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘কাশ্মিরে যা ঘটছে বা কাশ্মিরি কোনো আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা একেবারেই কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নই।’
পাকিস্তানের এ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত সরকারের দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘ভারত সরকার যে অভিযোগ করছে, আমি তা জোরালোভাবে নাকচ করছি।’
এর আগে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার দেশটির একটি বেসরকারি চ্যানেলে বলেন, ‘ভারতের নেওয়া পদক্ষেপগুলো শিশুসুলভ এবং এতে গুরুত্বের অভাব রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারত প্রতিটি ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং অতীতের মতো এবারও পাকিস্তানকে দোষারোপের চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা বৈঠকে ভারতকে যোগ্য জবাব দেব, এ জবাব কম হবে না।’
উল্লেখ্য, কাশ্মিরের ভারতশাসিত অঞ্চলে ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলছে। বহু কাশ্মিরি মুসলিম বিদ্রোহীদের সমর্থন করেন এবং তারা চান, অঞ্চলটি হয় পাকিস্তানে যোগ দিক অথবা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক।
ভারত দাবি করে থাকে এটি পাকিস্তান-প্রভাবিত ‘সন্ত্রাসবাদ’। অন্যদিকে পাকিস্তান বলে এটি একটি বৈধ স্বাধীনতাকামী আন্দোলন। দীর্ঘ সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, বিদ্রোহী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।