প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১০ এএম
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৯ এএম
কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার পর সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ সকালেই ভারতে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। সে বৈঠকে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অন্য কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার রাতে সৌদি রাজার নৈশভোজ অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়েই নয়াদিল্লির বিমান ধরেন মোদি। মধ্যরাতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘সৌদি আরব সফর শেষ করে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
মোদির সফরসূচি অনুযায়ী জানা যায়, বুধবার রাতে তার দিল্লি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীর হামলার ঘটনার পরই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। খবর পাওয়ামাত্রই সৌদি থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি কাশ্মীরের সুরক্ষাব্যবস্থা তত্ত্বাবধানের নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, শাহকে কাশ্মীরে পৌঁছানোর কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই শ্রীনগরে পৌঁছে সেনা, আধাসেনা, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ।
মঙ্গলবার সকালেই দুই দিনের সফরে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মোদি। সৌদি যুবরাজ সালমানের আমন্ত্রণে এ সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় হামলায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই ভারতে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সৌদি থেকেই সমাজমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা। প্রার্থনা করি, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। সব রকমের সাহায্য করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এ জঘন্য অপরাধের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের অসদুদ্দেশ্য কখনও পূরণ হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও জোরদার হবে।’
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হন। এটি ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় হামলা। নিহতদের মধ্যে দুজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন।