প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৯ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫ ২৩:৫৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানে বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হামলা ও ছিনতাইয়ের পর পাক সেনা কর্তৃক অভিযান সফলভাবে শেষ হয়েছে। অভিযানে সকলকে উদ্ধার করা হলেও, সন্ত্রাসীদের হাতে ২১ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জড়িত ৩৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া রেলওয়ে নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ৩ জন এফসি সদস্য শহীদ হয়েছেন এবং আগের দিনের অভিযানে আরও একজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ মার্চ) পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এর পরিচালক জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ট্রেন এবং আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
‘অন দ্য ফ্রন্ট’ অনুষ্ঠানে দুনিয়া নিউজের উপস্থাপক কামরান শাহিদের সঙ্গে আলাপকালে জেনারেল আহমেদ শরীফ জানান, হামলার স্থান ছিল অত্যন্ত দুর্গম, যেটি জন এলাকা এবং রাস্তা থেকে অনেক দূরে।
সন্ত্রাসীরা যাত্রীদের, বিশেষ করে নারী ও শিশুকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে দ্রুত উদ্ধার অভিযানের প্রয়োজন হয়। এই অভিযানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) এবং স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (এসএসজি) এর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন এবং তারা অরক্ষিত এসব যাত্রীদের উদ্ধার করেন।
আহমেদ শরীফ জানান, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের সমর্থক ও মাস্টারমাইন্ডদের সাথে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রেখেছিল। তিনি আরও বলেন, আগের রাতে প্রায় ১০০ যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় এবং পরবর্তী দিন আরও অনেক যাত্রী উদ্ধার করা হয়।
চৌধুরী সন্ত্রাসীদের বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘কেউই পাকিস্তানের নিরীহ জনগণকে তাদের বর্বরতার শিকার হতে দিতে পারে না। যারা এই কাজ করবে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বেলুচিস্তানের বোলান জেলায় পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে সশস্ত্র হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ট্রেনটিতে প্রায় ৪৪০ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন প্রায় ২০০ জন। নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭০ থেকে ৮০ জন হামলাকারী জড়িত বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জনকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা আফগানিস্তানে তাদের সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইরান, জার্মানি ও জাতিসংঘ।