প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৯ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে। যা গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে সর্বশেষ বন্দি বিনিময়ের ঘটনা। সূত্র: রয়টার্স।
ওমের ওয়েনকার্ট, ওমের শেম টোভ ও এলিয়া কোহেন- এই তিন ইসরায়েলি নাগরিককে নুসাইরাত শহরে শত শত ফিলিস্তিনির সামনে মুখোশধারী, সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা হাজির করে। তারা বন্দিদের সামরিক পোশাক পরিয়ে রেড ক্রসের গাড়িতে তুলে দেয়, যা পরে ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা হয়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, কোহেন, শেম টোভ ও ওয়েনকার্ট—এই তিনজন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ গাজায় নোভা মিউজিক ফেস্টিভাল থেকে অপহৃত হন। সেদিন হামাসের যোদ্ধারা হামলা চালালে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে।
শনিবারের বন্দিমুক্তির আগে, গাজার রাফাহ শহর থেকে আরও দুই বন্দি মুক্তি পায়। তারা হলেন তাল শোহাম (৪০) ও অ্যাভেরা মেঙ্গিস্টু (৩৯)।
এছাড়া, হিশাম আল-সাইয়েদ (৩৬) নামের আরেক বন্দিকে গাজা শহর থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। আল-সাইয়েদ ও মেঙ্গিস্টুকে হামাস প্রায় এক দশক ধরে আটকে রেখেছিল, কারণ তারা গাজায় স্বেচ্ছায় প্রবেশ করেছিল।
অন্যদিকে, তাল শোহাম ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি পাওয়া তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে অপহৃত হয়েছিলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই ছয়জনই যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে মুক্তি পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ৩৩ জনের শেষ জীবিত বন্দি। যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে।
শনিবারের বন্দিমুক্তির আগে, শুক্রবার হামাস চার বছরের অ্যারিয়েল বিবাস এবং দশ মাস বয়সী কফির বিবাসের মরদেহ ইসরায়েলে ফেরত পাঠায়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস