প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত ইউরোপীয় নেতারা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর আহ্বানে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠক থেকে ইউক্রেনকে ইউরোপীয় নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সৌদি আরবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনায় ইউরোপ ও ইউক্রেনকে বাদ দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের এই বৈঠক ডাকা হয়।
বৈঠকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন, ডেনমার্ক ছাড়াও বাল্টিক ও নর্ডিক দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি এবং প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল এই বৈঠকে হাজির ছিলেন।
জরুরি বৈঠকের পর ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, 'প্যারিসে বৈঠক থেকে এটাই আমার সিদ্ধান্ত যে ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তায় নিশ্চয়তা প্রদানে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইউরোপ প্রস্তুত ও ইচ্ছুক।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেন, কিয়েভে নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা দরকার। এক্ষেত্রে ইউরোপকে বাদ দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা অসঙ্গত।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি হলেও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন। কেবল তখনই রাশিয়া দেশটিতে পুনরায় হামলা চালানোর সাহস পাবে না।
তবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকার প্রয়োজন আছে বলে মস্কো মনে করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একতরফা সমর্থন ও সহায়তা পেয়ে এসেছে। ট্রাম্পের শাসনামলে সেখানে প্রেক্ষাপট পুরোই ভিন্ন। নির্বাচনের আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি দিলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প আপাতদৃষ্টিতে সে পথে সরাসরি হাঁটছেন না। বরং ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপে ইউরোপ জুড়ে দেখা দিয়েছে এক ধরনের অস্বস্তি আর শঙ্কা।