প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৮ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৪ পিএম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে যৌথভাবে এই এআই অ্যাকশন সামিটের সভাপতিত্ব করেন। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘চাকরি হারানোর ভয় এআই’র সবচেয়ে আশঙ্কাজনক প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে ইতিহাস সাক্ষী যে, প্রযুক্তির কারণে কাজ কখনও পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায় না, বরং তার প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়। আমাদের এআই চালিত ভবিষ্যতের জন্য জনগণকে দক্ষ ও পুনঃদক্ষ করে গড়ে তুলতে বিনিয়োগ করতে হবে।’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত "আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাকশন সামিট" এ বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-নির্ভর ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে যৌথভাবে এই এআই অ্যাকশন সামিটের সভাপতিত্ব করেন।
গ্র্যান্ড প্যালেসে আয়োজিত সম্মেলনে মোদি আরও বলেন, "আমাদের এমন ওপেন-সোর্স সিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা বাড়ায়। মানসম্পন্ন, নিরপেক্ষ ডেটা সেন্টার তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিকভাবে সকলের জন্য সহজলভ্য করতে হবে এবং মানুষের কেন্দ্রিক অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা, ভুয়া তথ্য ও ডিপফেক সংক্রান্ত উদ্বেগগুলোরও সমাধান করতে হবে।"
মোদি আরও উল্লেখ করেন যে প্রযুক্তির কার্যকারিতা ও বাস্তবায়নের জন্য তা স্থানীয় পর্যায়ে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো জরুরি।
তিনি বলেন, "এআই অভাবনীয় দ্রুততায় বিকশিত হচ্ছে এবং সমান গতিতে বিশ্বব্যাপী গৃহীত ও প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে গভীর পারস্পরিক নির্ভরতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমাদের যৌথভাবে বৈশ্বিক পর্যায়ে শাসনব্যবস্থা ও মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন, যা আমাদের যৌথ মূল্যবোধ সংরক্ষণ করবে, ঝুঁকি মোকাবিলা করবে এবং মানুষের মধ্যে বিশ্বাস সৃষ্টি করবে।"
তিনি আরও বলেন, "শাসনব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সবার জন্য প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা, বিশেষত 'গ্লোবাল সাউথ'-এ, যেখানে বিদ্যুৎ, দক্ষ জনবল বা ডেটা ও আর্থিক সংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে।"
এআই-এর ইতিবাচক দিক তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, "এই প্রযুক্তি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং আরও অনেক খাতে বিপ্লব ঘটাতে পারে। এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে উন্নত করতে পারে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনের পথে আমাদের যাত্রাকে সহজ ও দ্রুততর করতে পারে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের সম্পদ ও প্রতিভাকে একত্রিত করতে হবে। আমাদের এমন ওপেন-সোর্স সিস্টেম তৈরি করতে হবে যা স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করবে এবং নিরপেক্ষ ও মানসম্পন্ন ডেটা সেট তৈরি করবে।"
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস