প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৭ এএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৪ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা ‘দখল’ করবে। এজন্য সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের চলে যেতে হবে। ট্রাম্পের এ ঘোষণার পর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অধিকারের বিষয়ে কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে না সৌদি আরব।
ট্রাম্পের এক মন্তব্যে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদি আরবের কোনো দাবি নেই বলে ইঙ্গিত দেওয়া হলে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুবরাজের বক্তব্য দিয়ে প্রতিবাদ জানায় রিয়াদ। খবর রয়টার্সের।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে যুবরাজের বক্তব্য তুলে ধরে বলা হয়, ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদি আরবের অবস্থান ‘পরিষ্কার’ ও ‘স্পষ্ট’, যা কোনো অবস্থায়ই ভিন্ন ব্যাখ্যার সুযোগ দেয় না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সৌদি আরব ফিলিস্তিনিদের নিজভূমি থেকে উচ্ছেদের যেকোনো প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদি আরবের অবস্থান আপসহীন এবং এ নিয়ে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই।
এর আগে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে। সে সময় তিনি সফল হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণের কারণে আরব বিশ্বে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে রিয়াদ ওই আলোচনা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র : রয়টার্স