প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৩৮ এএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:০০ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করা হবে এবং উপত্যকাটির অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করা হবে।’
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ বিস্ময়কর পরিকল্পনার কথা জানান।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
অবশ্য ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে তার এ পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেননি। তিনি এমন পদক্ষেপ নিলে তা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত কয়েক দশকের নীতি ভেঙে দেবে।
রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিকানা নেবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘একই লোক’ (গাজার) পুনর্নির্মাণ এবং জমি দখলের দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এটির (গাজার) মালিক হব এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করব, ভূখণ্ডটি সমতল করব এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাব, এগুলো সমতল করব (এবং) সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।’
যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব।’
এর অর্থ তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান সমর্থন করেন না কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এর অর্থ দুই রাষ্ট্র বা এক রাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাষ্ট্র সম্পর্কে কিছু নয়। এর মানে হলো আমরা চাই। মানুষকে জীবনে সুযোগ দিন। তারা জীবনে কখনও সুযোগ পায়নি কারণ গাজা স্ট্রিপ সেখানে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি নরকের গর্তে পরিণত হয়েছে।’
ফিলিস্তিনিরা চলে গেলে গাজায় কারা বাস করবেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বের মানুষ। আমি মনে করি আপনি এটিকে একটি আন্তর্জাতিক, অবিশ্বাস্য জায়গায় পরিণত করবেন। আমি মনে করি গাজা স্ট্রিপের সম্ভাবনা অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি সমগ্র বিশ্ব, সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন এবং তারা সেখানে বাস করবেন, ফিলিস্তিনিরা সেখানে বাস করবে। অনেক মানুষ সেখানে বাস করবে।’
এ বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তি আনতে, আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।’