প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতে নতুন শুল্ক আরোপের পাশাপাশি গুগলসহ অন্যান্য আমেরিকান কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বেইজিং। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও বড় ইঞ্জিনের গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, যা আগামী সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (এইচটিও) নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এবং এটি বাণিজ্যিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এদিকে, চীনের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর মার্কেট রেগুলেশন ঘোষণা করেছে যে, গুগল ‘অ্যান্টিট্রাস্ট ল’ লঙ্ঘন করেছে এমন সন্দেহে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট পরই এই ঘোষণা আসে।
অন্যদিকে, সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক পাচার রোধে কানাডা ও মেক্সিকো সহযোগিতার আশ্বাস দিলে ট্রাম্প দেশ দুটির পণ্যে শুল্কারোপ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেন।
শুল্কারোপ ছাড়াও চীন উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর রপ্তানি সীমিত করেছে। টাংস্টেন, টেলুরিয়াম, বিসমাথ, মলিবডেনাম ও ইন্ডিয়ামের মতো বেশ কিছু মূল্যবান খনিজ উপাদানের রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, যা মার্কিন অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, ডিসেম্বরে গ্যালিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসহ আরও কিছু পণ্যের রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে চীন।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই মার্কিন প্রতিষ্ঠান— কেলভিন ক্লেইন ও টমি হিলফিগারের মালিকানাধীন পিভিএইচ গ্রুপ এবং জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলুমিনাকে 'অনির্ভরযোগ্য কোম্পানি' হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর ফলে তারা চীনে ব্যবসা পরিচালনা, আমদানি-রপ্তানি এবং নতুন বিনিয়োগ করতে পারবে না।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন মোড় নিচ্ছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র : রয়টার্স