প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জার্মানির পার্লামেন্টে নানা তর্ক-বিতর্ক ও সমালোচনার পর অবশেষে মুখ থুবড়ে পড়ল অভিবাসন নীতি কঠোর করার পরিকল্পনা বিল। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জার্মানির পার্লামেন্টে বহুল আলোচিত প্রস্তাবটি প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়। এতে দেশটিতে বসবাসরত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের মধ্যে কিছুটা হলেও শঙ্কা কমার পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও স্বস্তি ফিরেছে।
এদিন বিকাল থেকেই দেশটির পার্লামেন্টে উত্থাপিত অভিবাসন ও শরণার্থী নীতি আরও কঠোর করার প্রস্তাবের ওপর পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন সব দলের মধ্যে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে বহুমুখী তর্ক-বিতর্ক। পরে ভোটাভুটিতে অভিবাসন নীতি কঠোর করার প্রস্তাবটি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় সব দল।
এর আগে জার্মানির পার্লামেন্টে উগ্র ডানপন্থি দল সিডিইউর তোলা অভিবাসন আইন কঠোর করার প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন বিশ্বব্যাপী অভিবাসীবান্ধব হিসেবে পরিচিত একসময়ে দলটির প্রাণ ও দেশটির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এএফডির সহযোগিতা নিয়ে এমন অমানবিক প্রস্তাব পাস জার্মানির গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়ার মতো।’
এদিকে জার্মানিতে অভিবাসন নীতি কঠোর করতে সিডিইউর প্রস্তাবে দেশটির কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল এএফডির সহায়তা নেওয়ায় জার্মানি জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। কোলন, হামবুর্গ, মিউনিখ, লাইপজিগসহ অন্যান্য শহরে অনুষ্ঠিত এসব সমাবেশ থেকে নব্য নাৎসি দল হিসেবে পরিচিত এএফডি, সিডিইউ ও দলটির চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ফ্রিডরিশ মের্জের তীব্র নিন্দা জানান বিক্ষোভকারীরা।
শুক্রবার বন্দর শহর হামবুর্গে প্রস্তাবিত অভিবাসন ও শরণার্থী নীতিবিষয়ক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করে। এ ছাড়া জার্মানির বিভিন্ন শহরে বড় বড় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
জার্মানির ক্যাম্পেইন নামে সংগঠনটি জার্মানির রাজনীতিতে রক্ষণশীলদের প্রভাবের বিরুদ্ধে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ব্র্যান্ডেনবার্গ বা বার্লিন গেটে আবারও বিক্ষোভের ডাক দেয়।
অভিবাসন ও শরণার্থী নীতিবিষয়ক প্রস্তাব সংসদে পরাজিত হলেও ফ্রিডরিখ মের্জ বলেছেন, ‘আগামী দিনে তিনি প্রস্তাবটি সংসদে অনুমোদনের চেষ্টা করবেন।’
সূত্র : বিবিসি