প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৭ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:০৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত
লিবিয়ার ব্রেগা উপকূলে উদ্ধার হওয়া ২০ মরদেহের সবাই বাংলাদেশি হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাত দিয়ে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টায় ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস জানায়, ২০টি মৃতদেহ ইতোমধ্যে আজদাদিয়াতে দাফন করা হয়েছে, যা ব্রেগা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
মৃতদেহগুলো প্রায় পচে-গলে যাচ্ছিল বলেই দাফন করা হয়েছে জানায় দূতাবাস।
দূতাবাস জানিয়েছে, মরদেহগুলো পচন ধরায় নাগরিকত্ব শনাক্ত করা যায়নি।
সূত্র জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি লিবিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে একটি নৌকা ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই নৌকায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পর মরদেহ ভেসে আসে লিবিয়া উপকূলে। তবে ওই নৌকায় ঠিক কতজন বাংলাদেশি ছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল পেজ থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দেওয়া এ সংক্রান্ত এক পোস্টে বলা হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা এলাকা থেকে বিগত দুদিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে এমন তথ্য জানতে পেরেছে।
স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব লাশ ব্রেগা তীরে ভেসে এসেছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত লাশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক থাকার আশঙ্কার কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।
তবে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
এমন প্রেক্ষিতে ওই দুর্ঘটনায় মৃত, আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে যে কোনো তথ্য জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
তথ্য জানাতে ফেসবুক কমেন্টে অথবা দূতাবাসের নিম্নোক্ত দাপ্তরিক মোবাইল নম্বরে (+২১৮৯১৬৯৯৪২০২ এবং +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭) যোগাযোগ করা যাবে বলে জানানো হয়।
ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তারাও বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, দূতাবাস এসব ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।