প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১১ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:০১ এএম
মহাকুম্ভ মেলায় পদদলনের ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের উত্তরপ্রদেশে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ জমায়েত মহাকুম্ভ মেলায় পদদলনের ঘটনার পর ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতের সংখ্যা জানা যায়নি। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশের তিনটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে পদদলনের এ ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে বেসরকারি একটি সূত্রে জানা গেছে, সেখানে এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে।
অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় ভারত সরকার আহত-নিহতের সংখ্যা লুকানোর চেষ্টা করছে। তারা বিকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আহত ও নিহতদের সংখ্যা প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
শ্বেতা ত্রিপাঠী নামের এক নারী বলেছেন, ‘আমরা মানুষকে
পড়ে যেতে দেখেছি। আমরা সামনে গিয়ে দেখি চারদিকে কাপড়, মানুষের দেহ, তাদের ব্যাগসহ অন্যান্য
জিনিস পড়ে আছে। বিষয়টি এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেলো, আমি আর এটি নিতে না পেরে কান্না শুরু
করি। সৌভাগ্যক্রমে আমার দলের কেউ আহত হননি। আমরা সবাই নিরাপদ আছি। কিন্তু আমি আর কখনো
কুম্ভমেলায় আসব না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা শিশু ও আত্মীয়দের তাদের প্রিয় মানুষদের মরদেহের
পাশে কাঁদতে দেখেছেন। কুম্ভমেলায় পুরো ভারত থেকে কোটি কোটি মানুষ অংশ নেন। সেখানে
পবিত্র পানিতে ডুব দেন তারা। এই মেলায় হাজার হাজার হিন্দু সন্যাসী অবস্থান করেন। বলা
হয়ে থাকে, হিন্দুদের সবচেয়ে বড় গণজমায়েত এটি।
প্রতি ১২ বছর পরপর পর কুম্ভমেলা হয়ে থাকে। আর ১৪৪ বছর অন্তর হয় মহাকুম্ভ
মেলা। ধারণা করা হয়, এটি প্রায় ৮০০ বছরের পুরোনো একটি ঐতিহ্য।
সহস্রাব্দ প্রাচীন এই কুম্ভ মেলা গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মোহনায় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পূণ্য লাভের আশায় হাজার হাজার মানুষ একসাথে স্নান করেন। হিন্দু ধর্মালম্বীরা মনে করেন গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর পবিত্র জলে স্নান করে মানুষ পাপ থেকে মুক্ত হয়। তীর্থযাত্রীরা সূর্যোদয়ের আগে পবিত্র ঠান্ডা পানিতে স্নান শুরু করেন। এবারের মেলায় ৪০ কোটি মানুষ অংশ নেবেন বলে ধারণা আয়োজকদের।