প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২২ ২২:১১ পিএম
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২২ ২৩:১১ পিএম
টোকিও আদালতের রুলকে স্বাগত জানান ক্যাম্পেইনাররা। ছবি: সংগৃহীত
জাপান বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত দেশ। কিন্তু পূর্ব এশিয়ার দেশটির অনেক আইন এখনো প্রথানির্ভর, প্রাচীন। ফলে পশ্চিমের শিল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সমান তালে পা মিলাতে ছোট ছোট ক্ষেত্রে দেশটিকে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। এ রকম একটি সমস্যা বা অনগ্রসরতা দেশটিতে সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা না থাকা। কিন্তু টোকিওর একটি আদালতের বুধবারের এক রুলে সমলিঙ্গের বিয়ের দুয়ার আরেকটু অবারিত করেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৩০ নভেম্বর) টোকিওর একটি আদালত সমলিঙ্গের বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন। তবে, সঙ্গে এটাও বলেছেন, সমলিঙ্গের বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সমলিঙ্গের মানুষের বিয়ের পথে রাষ্ট্রীয় বাধার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
টোকিও আদালতের বুধবারের রুলকে ঐতিহাসিক বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। মামলাটির বাদী পক্ষের আইনজীবী নোবুহিতো সাওয়াজাকি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটা একটা অত্যন্ত ন্যায্য রুলিং। আদালত সমলিঙ্গে বিয়ের ওপর রাষ্ট্রীয় আইনের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখলেও, বিরাজমান চর্চা কোনো মতেই ভালো নয় বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রচলিত আইন সংশোধনের ইশারা দিয়েছেন। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
লক্ষ্য করার মতো ব্যাপার হলো, মামলাটির বিবাদী রাষ্ট্রপক্ষ রুলের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি করেনি। তাছাড়া তা রিভিউ করারও কোনো পরিকল্পনার কথা জানায়নি। অন্যদিকে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কয়েকজন আইনপ্রণেতা সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছেন।
চার সমলিঙ্গের দম্পতি রাষ্ট্রীয় আইনের কারণে বিভিন্ন ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগে টোকিওর ওই আদালতে মামলা করেন। তারা সাত হাজার ২০০ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে রাষ্ট্রকে বিবাদী করে মামলাটি করেন। বুধবার মামলাটির শুনানি হয়। আদালত তাদের ক্ষতিপূরণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে সংবিধানের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
ইতোপূর্বে জাপানের আরও দুটি আদালত প্রায় একই ধরনের রুল জারি করে। ২০২১ সালে সাপোরো শহরের আদালত রুল জারি করে, সমলিঙ্গের বিয়ে অবৈধের বিষয়টি তাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে একই বছর ওসাকা শহরের আদালত সমলিঙ্গের বিয়ে অসংবিধানিক বলে রুল দেন।