প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:৫৯ এএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫০ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার শপথ গ্রহণের পর দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশ জারির ঘোষণা দিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো পানামা খাল দখল এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
ট্রাম্প দাবি করেন, পানামা খালে আমেরিকান জাহাজের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের যথাযথ সেবা প্রদান করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা পানামা খাল ফিরিয়ে নিচ্ছি।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পানামা খাল নির্মাণের সময় ৩৮ হাজার আমেরিকান সেনা প্রাণ হারিয়েছে এবং এখন খালটি চীন নিয়ন্ত্রণ করছে।
তবে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পানামা খাল নির্মাণের সময় ৫ হাজার ৬০০ জন প্রাণ হারায়, যাদের বেশিরভাগই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের। তারা মূলত অ্যান্টিগা, বার্বাডোজ ও জ্যামাইকার বাসিন্দা ছিল।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণাও দিয়েছেন ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে ওই সীমান্তে সেনা পাঠাবেন তিনি, যারা অবৈধ অভিবাসীর আগমন ঠেকাবে। এ ছাড়া অবৈধ অভিবাসী ও হাজার হাজার অপরাধীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি তার ‘মেক্সিকোতে থাকুন’ নীতি আবারও পুনর্বহাল করবেন। অর্থাৎ যারা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী হিসেবে আসতে চান বা আশ্রয় নিতে চান; প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের মেক্সিকোতে অবস্থান করতে হবে।
ট্রাম্প মেক্সিকান মাদক গ্যাংগুলোকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দেন এবং বলেন, এসব গ্যাং নষ্ট করা হবে। তিনি আরও ঘোষণা দেন, মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকান উপসাগর’ করা হবে।
ট্রাম্পের উল্লেখযোগ্য আরেকটি ঘোষণা হলো ‘জাতীয় জ্বালানি শক্তি জরুরি অবস্থা জারি’ করা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় জ্বালানি ও অন্যান্য মূল্যবান পদার্থের উদ্দেশ্যে খননকাজ চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।