প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:২৭ এএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত
গাজা ভূখণ্ডে দীর্ঘ ১৫ মাসের সংঘাতের পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। যদিও চুক্তির পরও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে।
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডে চালানো ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে বলে মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চিত করার পর গাজার ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদ্যাপন করছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে চলেছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েলি বাহিনী অবশ্য গাজা উপত্যকাজুড়ে তাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং চুক্তির কথা ঘোষণার পর থেকে এ ভূখণ্ডে অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, কাতারের রাজধানী দোহায় যে চুক্তি হয়েছে তাতে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত লোকদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তিসহ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সমস্ত শর্তই পূরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিম্মি ও তাদের পরিবারের দুঃখকষ্টের অবসানে চুক্তি এগিয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এ হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারের বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
সূত্র : আলজাজিরা