প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০৪ এএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৬ এএম
ছবি : সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় এক দিনেই পাঁচ শিশুসহ অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
গাজার মেডিকেলসূত্রগুলো আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর ওপর তিনটি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। এতে অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে ও ৫৭ জন আহত হয়েছে।
উপত্যকাটির খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের পরিচালক আহমদ আল-ফাররা বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শিশু নিহত হয়েছে। তারা সবাই সেখানে একসঙ্গে একটি তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিল।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আল-মাওয়াসি এলাকাকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করেছে। তা সত্ত্বেও তারা গতকাল ওই অঞ্চলে অশ্রয় গ্রহণকারী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়েছে।
আল-মাওয়াসি এলাকা ইসরায়েলিরা নিরাপদ বলে ঘোষণা দেওয়ায় হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হামাসকে লক্ষ্যবস্তু করে সেখানে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৫ হাজার ৮৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৯ হাজার ফিলিস্তিনি।
এ ছাড়া ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তারা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে। আর মরদেহগুলো বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা