প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৩ এএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২১ এএম
ছবি: সংগৃহীত
চীনের তিব্বত অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৮৮ জন। ৩ হাজারেরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা অবধি প্রায় ৩ হাজার ৬০৯টি ভবন ধসে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন।
জীবিতদের খোঁজে রাতভর তল্লাশি চালিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভিতে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের পর বাড়িঘরের দেয়াল ভেঙে পড়েছে ও চারপাশে ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
চীনা আর্থকোয়াক নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে নেপাল সীমান্তের কাছে ডিংরি কাউন্টিতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বত অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে এ কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
প্রাথমিক পর্যায়ে দেশটির আঞ্চলিক দুর্যোগ ত্রাণ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকালের এ ভূমিকম্পে তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জিগাজে শহরের ডিংরি কাউন্টিতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩২ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে তিব্বতের প্রতিবেশী দেশ নেপালেও। পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত ও ভূটানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
মঙ্গলবার নেপালের নামচে অঞ্চলের সরকারি কর্মকর্তা জগৎ প্রসাদ ভুসাল এএফপিকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে দেশটি বেশ জোরে কেঁপে উঠেছে। সবাই জেগে উঠেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তারা এখনও কিছু জানেন না।
সূত্র : বিবিসি