প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৪ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে ১১ জন ইয়েমেনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য ওমানে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুয়ানতানামোতে এখন আর মাত্র ১৫ জন বন্দি রয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) কাতারভিত্তকি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ওয়াশিংটনের কথিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিনা অভিযোগে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়েছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,দায়িত্বশীলভাবে বন্দিদের সংখ্যা হ্রাস ও শেষ পর্যন্ত গুয়ানতানামো বে কেন্দ্রটি বন্ধ করার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে চলমান মার্কিন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করায় ওমান সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সদিচ্ছার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্ত্রণালয়টি আরও জানিয়েছে, কারাগারে অবশিষ্ট বন্দিদের মধ্যে তিনজন স্থানান্তরের জন্য যোগ্য, তিনজন সম্ভাব্য মুক্তির জন্য পর্যালোচনার জন্য যোগ্য ও সাতজন অভিযোগের সম্মুখীন। তাছাড়া আরও দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ও সাজা দেওয়া হয়েছে।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২০ সালে তার নির্বাচনের আগে গুয়ানতানামো-বে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মেয়াদের এখন আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে।
ইয়েমেনি বন্দিদের সোমবারের এই স্থানান্তর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে একক কোনো দেশে সবচেয়ে বড় বন্দি স্থানান্তরের ঘটনা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশটিতে আল-কায়েদার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সন্দেহভাজনদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ও বিনা অভিযোগে আটক রাখার জন্য গুয়ানতানামো কারাগারটি স্থাপন করা হয়। ৯/১১ এর ওই হামলার পর কারাগারটিতে সর্বোচ্চ ৮০০ জন বন্দিকে রাখা হয়েছে। আর এখন বন্দি মুক্তির এই পদক্ষেপের ফলে কিউবার এ কারাগারে মাত্র ১৫ জন বন্দি রয়ে গেছেন । যা তার ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম সংখ্যা।