যুদ্ধবিরতি
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪১ পিএম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৫ পিএম
হিজবুল্লাহ রাজনৈতিক কাউন্সিলের উপপ্রধান মাহমুদ কোমাতি। ছবি : সংগৃহীত
লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি মোতাবেক যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই লেবাননের ভূখন্ড থেকে ইসরায়েলকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। আর ইসরায়েল তা করতে ব্যর্থ হলে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ‘নীরব থাকবে না’ বলে হুমকি দিয়ছেন গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক কাউন্সিলের উপপ্রধান মাহমুদ কোমাতি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) হিজবুল্লাহ পরিচালিত সম্প্রচারমাধ্যম আল-মানার টিভিকে কোমাতি বলেছেন,‘হিজবুল্লাহ আমাদের জনগণের স্বার্থে ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেছে। কিন্তু ইসরায়েল ৬০ দিনের মধ্যে লেবাননের ভূখন্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে আমরা চুপ করে থাকব না।’
তিনি আরও বলেছেন,‘চুক্তির ক্ষেত্রে এটা স্পষ্ট যে, হয় সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাকবে, নয়তো কেউ না।’
হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার বিষয়টিও নাকচ করে দিয়েছেন কোমতি। এ ধরনের পদক্ষেপ লেবাননকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহ বিনা প্রতিরোধে ইসরায়েলকে লেবাননের ভূমি দখল বা এখানে তাদের বসতি নির্মাণকে অনুমোদন করতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় গত ২৭ নভেম্বর ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় ১৪ মাস ধরে চলা লড়াইয়ের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এ যুদ্ধবিরতি ৬০ দিন স্থায়ী হবে। এ চুক্তির অংশ হিসেবে এই ৬০ দিনের মধ্যে ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ‘ধীরে ধীরে তার সেনা প্রত্যাহার’ করবে। আর সেখানে লেবাননের সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রতিদিনই লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে কয়েকটি হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলের দাবি, হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
সূত্র : সিনহুয়া