বিমান বিধ্বস্ত
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) জুজু এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছে।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে শেষ কয়েক মিনিটের ঘটনাপ্রবাহের তথ্য দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় ও অগ্নিনির্বাপণ কর্তৃপক্ষ। পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হলো।
সকাল ৮টা ৫৪ মিনিট : মুয়ান বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার থেকে বিমানটিকে ১ নম্বর রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়।
সকাল ৮টা ৫৭ মিনিট : বিমানটির অবতরণপথে পাখি ওড়াউড়ির সতর্কতা দেয় নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার।
সকাল ৮টা ৫৯ মিনিট : বিমানের পাইলট নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারকে পাখির আঘাতের কথা জানান এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তারা ‘মেডে’ অর্থাৎ বিপন্ন অবস্থার কথা ঘোষণা করেন। পাখির আঘাতের কথা বলেন। উড়োজাহাজটিকে ফিরে যেতে বলেন।
সকাল ৯টা : বিমানটি নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের কাছে ১৯ নম্বর রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি চায়। এই রানওয়ে একেবারে বিপরীত দিকে অবস্থিত।
সকাল ৯টা ১ মিনিট : নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার বিমানটিকে ১৯ নম্বর রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়।
সকাল ৯টা ২ মিনিট : ২ হাজার ৮০০ মিটার দীর্ঘ রানওয়ের মাঝপথে অর্থাৎ ১ হাজার ২০০ মিটারে এসে উড়োজাহাজটির চাকা রানওয়ে স্পর্শ করে।
সকাল ৯টা ২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড : নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ উদ্ধার ইউনিটে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সতর্কসংকেত (ক্র্যাশ বেল) জারি করে।
সকাল ৯টা ২ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড : বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ উদ্ধার ইউনিট উদ্ধারের সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করে।
সকাল ৯টা ৩ মিনিট : বিমানটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে থাকা একটি প্রাচীরে গিয়ে প্রচণ্ড বেগে আঘাত করে।
সকাল ৯টা ১০ মিনিট : পরিবহন মন্ত্রণালয় বিমান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিমান দুর্ঘটনার খবর পায়।
সকাল ৯টা ২৩ মিনিট : একজন পুরুষকে উদ্ধার করা হয় এবং তাকে অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
৯টা ৩৮ মিনিট : মুয়ান বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
৯টা ৫০ মিনিট : বিধ্বস্ত বিমানটির পেছনের অংশ থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।