প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৫৭ এএম
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে পৌঁছানোর আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এ আলোচনায় জড়িত ফিলিস্তিনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সম্পর্কে বিবিসিকে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, গাজার সঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্তের দৈর্ঘ্য বরাবর কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত একটি বাফার জোন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বজায় থাকবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, তারা কয়েকদিনের মধ্যেই তিন দফায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে।
এই চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির তিনটি ধাপের মধ্যে প্রথমটিতে বলা হয়েছে মুক্তি পাওয়া প্রত্যেক নারী সেনার বিপরীতে ২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যাদেরকে এই চুক্তির আওতায় বিনিময় করা হবে তাদের নাম এখনো ঠিক করা যায়নি। তবে, ইসরায়েলে ২৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কারাদণ্ড ভোগ করছে এমন প্রায় ৪০০ নাম থেকে তাদেরকে বেছে নেওয়া হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, বন্দি বিনিময়ের নামের তালিকার মধ্যে ফাতাহর জ্যেষ্ঠ নেতা মারওয়ান বারঘৌতির নাম থাকবে না। তার মুক্তিতে ইসরায়েল ভেটো দেবে।
ইসরায়েলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে। কেননা বিশ্বাস করা হয়, হামাসের হাতে থাকা কিছু ইসরায়েলি জিম্মি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। যাদেরকে হামাসের খুঁজে বের করতে হবে।
এখনো ৯৬ জন ইসরায়েলি জিম্মি গাজায় রয়েছেন। ইসরায়েলের ধারণা, তাদের মধ্যে এখনো ৬২ জন জীবিত রয়েছেন।