প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৮ পিএম
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫১ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ছবি : সংগৃহীত
সামরিক আইন জারির চেষ্টার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে হওয়া অভিশংসন ভোটে হেরে গিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ইতোমধ্যে তাকে সরকারি দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
শনিবার এ অভিশংসন ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টির কিছু সদস্য বিরোধী দলের সঙ্গে অভিশংসনের পক্ষে ভোটদানে যুক্ত হওয়ায় দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসনের প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে।
অভিশংসনের প্রস্তাবটি সপল হওয়ার জন্য অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন ছিল। যার মধ্যে বিরোধ দলগুলোর কাছে পার্লামেন্টের ৩০০ টির মধ্যে ১৯২ টি আসন ছিল। পিপিপি এর কিছু সদস্য এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার পর এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোটসংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার ফলে প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে গৃহীত হয়েছে।
অভিশংসনের সমর্থনকারী আইনপ্রণেতার সংখ্যা ২০৪ জন, এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ৮৫ জন ও ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন তিনজন। এছাড়া এ অভিশংসন ভোটে আটটি ব্যালট অবৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।
সাময়িকভাবে দাপ্তরিক দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হলেও ইউন তার প্রেসিডেন্টের পদে এখনো বহাল রয়েছেন।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাকে অপসারণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অভিশংসন প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। নয় সদস্যের কাউন্সিলের মধ্যে ছয়জন অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিলে ইউনকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারণ করা হবে।
প্রেসিডেন্ট ইউনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হলে আদালতের রায়ের ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় আগাম নির্বাচন ডাকা হবে।
গত ৩ ডিসেম্বর রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন দেশটিতে সামরিক আইন জারি করেন। এতে জনরোষের মুখে পড়েন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট ইউনের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। তার সিদ্ধান্ত পাল্টানোর পক্ষে ভোট দেয়। যার ফলে কয়েক ঘণ্টার মাথায় পরদিন সকালে সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন জারির এই চেষ্টার জন্য বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব করে। গত ৭ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিশংসন ভোট হয়। তবে তখন ইউনের দলের সদস্যরা ভোট বয়কট করায় প্রথম অভিশংসন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ইউন হলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিশংসিত হওয়া দ্বিতীয় রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট। এর আগে ২০১৭ সালে পার্ক গিউন-হাইকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র : জিও নিউজ