প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১০ এএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৫৫ এএম
ছবি : সংগৃহীত
মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে জারি করা সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করার ও মিডিয়াকে প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণে রাখার ইওলের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। ফলে পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতার মুখে তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহার করবেন বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইওল। ‘কমিউনিস্ট বাহিনী’র হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউন সুক-ইওল বলেন, ‘উদারপন্থি দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শক্তি নির্মূল করতে আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি।’
ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মতিক্রমে এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, বুধবার সকালে মন্ত্রিসভা সামরিক আইন বাতিলের বিষয়ে একমত হয়েছে।
আকস্মিক এই সামরিক আইন জারির ঘোষণায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে মানুষের মাধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়। তারা রাজপথে নেমে এসে এর প্রতিবাদ করেন ও নিন্দা জানান। বিক্ষোভের মুখে পড়ে কিছুক্ষণ পরই তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট ।
আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি জানার পর, জাতীয় পরিষদের পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীরা চিৎকার ও করতালি দিচ্ছিল ও ‘আমরা জিতেছি!’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিপি) শীর্ষ সংসদ সদস্য পার্ক চ্যান-দায়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন,‘যদি সামরিক আইন তুলেও নেওয়া হয়, তাও তিনি দেশদ্রোহীতার অভিযোগ এড়াতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট ইউন যে আর স্বাভাবিকভাবে দেশ চালাতে পারবেন না তা গোটা জাতির কাছে স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হযয়েছে। তার পদত্যাগ করা উচিত।’
দেশটির ইতিহাসের গোড়ার দিকে একাধিক কর্তৃত্ববাদী নেতা এ পথে হেঁটেছিলেন। তবে ১৯৮০-এর দশকে গণতান্ত্রিক পথে যাত্রা করে দেশটি। সম্প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা ওনের মানের ব্যাপক পতন ঘটেছে।