দীপক দেব
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১৩ এএম
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১৭ এএম
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ফ্লোরিডার পাম বিচে ভাষণ শেষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এভাবেই উদযাপন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : সংগৃহীত
নতুন এক ইতিহাস গড়লেন তিনি। ভাঙলেন ১২০ বছরের রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে তিনিই দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি ধারাবাহিকতা না থাকলেও দ্বিতীয়বারের মতো প্রবেশ করতে চলেছেন হোয়াইট হাউসে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে নতুন এই ইতিহাসের স্রষ্টা হলেন রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একমাত্র অগ্রজন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। প্রথম দফায় ক্লিভল্যান্ড ২২তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন ১৮৮৫ থেকে ১৮৮৯ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনর্নির্বাচনে দাঁড়ালেও পরাজিত হন তিনি ১৮৮৮ সালে। পরে ১৮৯২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি ফের জয়ী হন এবং ১৮৯৩ থেকে ১৮৯৭ সাল পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালন করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের আগে থেকেই অনেকে বলে আসছেন, তিনি বিজয়ী হলে বৈশ্বিক রাজনীতিতে পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটতে পারে ট্রাম্প ও পুতিনের সখ্যের নিদর্শন হিসেবে। যদিও ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধের ক্ষেত্রে এখনই এমন কোনো সম্ভাবনার কথা বলা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং মধ্যপ্রাচ্যকে এ যুদ্ধের আঁচ থেকে রক্ষা করতে ট্রাম্প প্রশাসন প্রচেষ্টা চালাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু নির্যাতনসংক্রান্ত এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া ট্রাম্পের একটি বার্তা এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যদিও বেশিরভাগ বিশ্লেষকের ধারণা, এ বিবৃতি ছিল নির্বাচনে আমেরিকার হিন্দু ভোটারদের কাছে টানার রাজনৈতিক কৌশল।
সুইং স্টেট উইসকনসিনে জয়ের ফলে এবং ২৭৬টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত হওয়াতে এটিও সুনিশ্চিত হয়ে যায় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রত্যাবর্তন করছেন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়ে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের। গত মঙ্গলবারের নির্বাচনে জিতে সবচেয়ে বেশি বয়সে মার্কিন প্রেসিডেন্টও হতে চলেছেন ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাতে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকার জনগণের জন্য এটি চমৎকার জয়। এটা আমাদের আমেরিকাকে আবারও মহান করার সুযোগ দেবে।’ ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে তখনও তার প্রয়োজন আরও চারটি ভোট। ওই অবস্থায় দেওয়া এ ভাষণে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে ক্ষতমুক্ত করতে চলেছি।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা
গতকাল বুধবার নির্বাচনে জয়ী দাবি করে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আর কোনো যুদ্ধ হতে দেব না।’ সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট জানাচ্ছে, গতকাল ফ্লোরিডার ওয়েন্ট পাম বিচে উচ্ছ্বসিত জনতার সামনে ট্রাম্প এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না। আইএসআইএসকে পরাজিত করা ছাড়া চার বছর ধরে আমাদের কোনো যুদ্ধ হয়নি। তারা (ডেমোক্র্যাট) বলেছিল, একটি যুদ্ধ শুরু করবে। কিন্তু আমি যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছি না, আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’
এর আগে নির্বাচনী বিতর্কে ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এই যুদ্ধটি শেষ করা এবং একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করাতেই রয়েছে আমেরিকার সর্বোত্তম স্বার্থ।’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ট্রাম্প ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাই নির্বাচনের আগে থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা গেছে অনেককেই। বিভিন্ন সময় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প যেসব মন্তব্য করেছেন, তা থেকেও এ যুদ্ধের পরিণতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এই ইস্যুতে গত বছর সিএনএন টাউন হলে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি যদি প্রেসিডেন্ট হই, তবে এ যুদ্ধটি এক দিনেই মিটিয়ে ফেলব।’ এর আগে এক বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসাও করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, রুশ নেতার সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে গর্বও করেছিলেন। একই সময়ে যুদ্ধের মধ্যে অতিরিক্ত মার্কিন সহায়তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধের সমালোচনাও করেছিলেন। জেলেনস্কির অনুরোধের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এটি কখনই শেষ হয় না।’ গত জুনে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আগেই তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি নির্ধারণ করে ফেলবেন। এ অবস্থায় অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ওয়েন মার্কিন নির্বাচনের আগেই বলেছিলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হবে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে এলে যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করবেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করবেন।’
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রভাবশালী প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির বিজয়ে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
একই ধরনের সম্ভাবনার কথা বলছেন কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের মধ্য দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা শুরু হতে পারে। রাশিয়ার নেতা পুতিনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সখ্য রয়েছে। এজন্য তাড়াতাড়িই যুদ্ধ বিরতির প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।’
মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত
এদিকে বিশিষ্ট কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক ধরনের সমাপ্তি হতে যাচ্ছে এমনটা মনে করা হলেও ট্রাম্পের বিজয় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ভবিষ্যতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে তিনি মনে করেন যে, এই যুদ্ধ যেন দ্রুত শেষ হয় এবং তা যেন পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে না পড়ে, ট্রাম্প প্রশাসন সেই চেষ্টা চালাবে। কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর নয়Ñ বিষয়টির ভবিষ্যৎ কী হবে, তার সবকিছুই নির্ভর করছে ইসরায়েলের ওপর।
এ প্রসঙ্গে আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইসরায়েলিরা কার পক্ষে, তা নিয়ে জরিপ চালিয়েছিল দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল ১২ (টুয়েলভ)। জরিপে উঠে এসেছিল যে, অধিকাংশ ইসরায়েলেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে। এ কারণ সম্পর্কে ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ইন জেরুজালেমের সাবেক চেয়ারম্যান ড্যান পেরি আলজাজিরাকে বলেন, ‘অনেক ইসরায়েলিই বিশ্বাস করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্যের বিষয়ে খুব কম মাথা ঘামান এবং তিনি তার দেশ নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন।’ তিনি বলেন, ‘কমলা হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্পই দ্রুত গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি (ট্রাম্প) এ অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ চান না। দ্রুতই এর অবসান ঘটাতে কাজ করবেন।’
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের দৃঢ় সমর্থক। তার আমলেই মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে সরিয়ে বিতর্কিত জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তিনি আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তিচুক্তির উদ্যোগ নিয়েছেন, কিন্তু উপেক্ষা করে গেছেন ফিলিস্তিনিদের অধিকার। কেবল তাই নয়, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনকেও সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও তিনি বলেছেন, এই সংঘাত দ্রুত শেষ হওয়া উচিত।’
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলাপকালে তাকে বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার আগেই যেন এসব অঞ্চলে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হয়। তবে এই ট্রাম্পই নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফ্লোরিডায় সাক্ষাৎকালে বলেছিলেন, ‘নেতানিয়াহু লেবানন ও গাজায় যা মন চায় করতে পারেন।’ ফলে মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে লেবানন ও গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ট্রাম্পের অবস্থান কী হবে তা এখনও ধোঁয়াটে।
কেমন হতে পারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে সেখানকার প্রার্থীদের মনোভাবের মাত্রা নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার ফলে এই আলোচনা নতুন এক মাত্রা পেয়েছে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রকাশ কমিটি’র প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার গতকাল সকালে রাজধানীর মার্কিন সেন্টারে সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের এ পরিবর্তন কোনো প্রভাব ফেলবে না।’ বদিউল আলম মজুমদার আরও মন্তব্য করেন, ‘আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ কোথায় সেটাও ট্রাম্প জানেন না।’
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং লেখক মাইকেল কুগেলম্যান নির্বাচনের আগে মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কমলা হ্যারিস জয়ী হলে (বাংলাদেশের সঙ্গে) বর্তমান সম্পর্কের ধারাবাহিকতা ও সামঞ্জস্য বজায় থাকবে, কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে।’ তিনি মনে করেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দুদেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে।’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না, ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান সম্পর্কের কাঠামোকে সমর্থন করবেন, যেখানে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে উন্নয়ন, সংস্কার ও অন্যান্য সহায়তা বা সমর্থন করছে। ট্রাম্প ও তার প্রশাসন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রদানের ওপর জোর দেওয়ার মতো সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী হবে না।’
কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমেদও মনে করেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে এত বড় বড় ইস্যু রয়েছে যে, সেখানে বাংলাদেশ খুব বেশি গুরুত্বের জায়গায় থাকবে বলে মনে হয় না। এজন্য ট্রাম্পের জয়ে দুই দেশের সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে আমার মনে হয় না। তবে বাংলাদেশকে অতীতের সহযোগিতাগুলো পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক উজ্জীবিত করার চেষ্টা করতে হবে।’