প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:১৮ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৪৮ পিএম
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে গাড়িতে আগুন। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের দুই রাজ্য আসাম ও মেঘালয় সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আসামের একজন বনরক্ষী এবং মেঘালয়ের মুকরোহ গ্রামের পাঁচজন রয়েছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে কাঠপাচারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে থেকে আসামের পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার সীমান্তের কাছে মেঘালয়ের পশ্চিম জৈন্তা পাহাড়ে উত্তেজনা বিরাজ করে। এর জেরে সেদিন রাতেই মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আসামের নাম্বারধারী একটি এসইউভি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দমকলকর্মীরা এসে আগুন নেভালেও গাড়িটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
দুই আন্তঃসীমান্ত রাজ্যে উত্তেজনার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বুধবার সকাল থেকে মেঘালয় রাজ্যের সাতটি জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর ৭টায় বেআইনিভাবে কাঠ পরিবহন করার অভিযোগে একটি ট্রাক থামানোর চেষ্টা করে আসাম বনবিভাগ। কিন্তু ট্রাকটি না থেমে দ্রুত মেঘালয়ে সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় পুলিশসহ বনরক্ষীরা তাড়া করে মুকরোহ গ্রামের কাছে ট্রাকটির একটি চাকা পাংচার করে সেটিকে থামাতে সক্ষম হয়। এ সময় তিনজনকে আটক করা গেলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু গ্রামবাসীরা একে অন্যায় অনুপ্রবেশ হিসেবে বিবেচনা করে আসাম পুলিশ ও বনরক্ষীদের ঘেরাও করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় দুপক্ষের গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে আসামের একজন বনরক্ষী এবং মেঘালয়ের মুকরোহ গ্রামের পাঁচজন নিহত হন।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ ঘটনাকে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া আসাম পুলিশ বিনা উস্কানিতে প্রথমে গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মেঘালয় সরকারও এ ঘটনায় এজহার দায়ের করেছে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মেঘালয় ও আসামের মধ্যে গত ৫০ বছর ধরে চলা সীমান্ত বিরোধ নিষ্পতির উদ্দেশ্যে চলতি বছরের মার্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপস্থিতিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।