প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৭ পিএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০৭ পিএম
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি : সংগৃহীত
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মূল খাতগুলোয় সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এ সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘যা-ই ঘটুক’ সমর্থন করার অঙ্গীকার করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সোমবার ঢাকায় তার কার্যালয় থেকে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন। ১৮ মাসের মধ্যেই যাতে নির্বাচন করা সম্ভব হয় মূলত এজন্যই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের অঙ্গীকার দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
তিনি ইউনূসের সংস্কারকাজ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকব। যা-ই হোক না কেন। যাতে তিনি তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারেন।’
ড. ইউনূস বিচার বিভাগ, পুলিশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রয়োজনীয় সংস্কার আনার অঙ্গীকার করেছেন। যাতে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করা সম্ভব হয়।
গত আগস্টের শুরুতেই ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে বাধা দেওয়া থেকে সরে দাঁড়ায় সেনাবাহিনী। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে দীর্ঘ ১৫ বছর পর পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নেন ভারতে।
হাসিনার পতনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ওয়াকার-উজ-জামান। সংস্কারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণ এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে করা উচিত। তবে এ সময়ে ধৈর্যধারণে প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে আমি বলব এ সময়সীমার মধ্যেই আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।’
আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। তখন বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল হাসিনার আওয়ামী লীগ ও তার বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) উভয়েই তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও সেনাপ্রধান প্রতি সপ্তাহেই দেখা করেন। তাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। একটি অশান্তির পর দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা সমর্থন করছে সেনাবাহিনী।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করি তবে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’