পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:২১ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪০ পিএম
পেজার বিস্ফোরণে আহত এক ব্যক্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাচ্ছে সিভিল সার্ভিস ফার্স্ট রেসপন্ডাররা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের বৈরুতের আল-জাহরা হাসপাতালের বাইরে। ছবি : সংগৃহীত
গত দুই দিন ধরে লেবাননে হাজার হাজার তারহীন যোগাযোগ যন্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত মানুষ। আহত হয়েছে ৩ হাজারের বেশি। ফলে দেশটির বাসিন্দাদের দিন কাটছে আতঙ্কে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার লেবাননের এক নারী বিবিসিকে বলেছেন, ‘যেকোনো শব্দে আমরা যা দেখেছি তার অর্থ গণহত্যা। যুবকরা হাতে, কোমরে, চোখে আঘাত নিয়ে রাস্তায় হাঁটছিল। তারা কিছু দেখতে পাচ্ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক আতঙ্কের রাজ্য মানুষকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। তারা এখন একে অপরের পাশে হাঁটতে ভয় পাচ্ছে। আর সত্যি করে বলতে এই পরিস্থিতিটি খুই ভয়ঙ্কর।’
দক্ষিণ লেবাননের এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমরা আমাদের উদ্বেগ ও ভয় লুকাতে পারছি না। বিশেষ করে শিশু, নারী ও বয়স্কদের জন্য আমাদের যে ভয় ও উদ্বেগ তা আমরা লুকাতে পারছি না।’
অন্য আরেকজন নারী জানিয়েছেন, তিনি একটি সম্মেলনে যাচ্ছেন। কিন্তু হয়তো যেতে পারবেন না।
তিনি বলেছেন,‘পুরো লেবাননজুড়ে বিভ্রান্তি, অস্বস্তি ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।’
একজন বলেছেন, ‘আমরা জানি না আমাদের ফোন নিরাপদ কি না।’
মঙ্গলবার দেশটিতে প্রায় ৫ হাজার পেজার বিস্ফোরিত হয়েছে। পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত ও ২ হাজার ৭৫০ জন আহত হয়েছে। এর ঠিক পরের দিন আবার লেবাননজুড়ে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ফলে লেবাননের মানুষ এখন ভয়ে ভয়ে দিন পার করছে।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ যোগাযোগের জন্য ওয়াকিটকিও ব্যবহার করে। ধারণা করা হচ্ছে, এজন্যই পেজারের পর ওয়াকিটকির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহ এ দুই দিনের বিস্ফোরণের ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। কিন্তু ইসরায়েল এখন অবধি এ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করেনি।
তবে বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ঘোষণা করেছেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের একটি নতুন পর্বের সূচনা করছে’ ইসরায়েল।
সূত্র : বিবিসি