পিটিআইকে সাক্ষাৎকারে ইউনূস
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:১৪ পিএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৬ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
দীর্ঘদিন ধরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ঝুলে আছে। এ অমীমাংসিত চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য দূর করতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে পিটিআইকে এ সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন; যা শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেছেন, ‘দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টন সমস্যা অবশ্যই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশের মতো ভাটির দেশগুলোর এ ক্ষেত্রে কিছু অধিকার রয়েছে। আর আমরা সেই অধিকার চাই।’
তিনি বলেছেন, ‘এই ইস্যুটি (পানিবণ্টন) নিয়ে বসে থেকে কোনো উদ্দেশ্য সাধন হচ্ছে না। আমি যদি জানি আমি কতটুকু পানি পাব, তা ভালো হতো। এমনকি পানির পরিমাণ নিয়ে আমি খুশি না হয়ে স্বাক্ষর করলেও তা ভালো হতো। এ বিষয়টি সমাধান করতেই হবে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যাগুলো যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের জন্য ভারতকে চাপ প্রয়োগ করবে কিনা সাক্ষাৎকারে তা জানতে চায় পিটিআই। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চাপ দেওয়া একটি বড় শব্দ। আমি তা বলছি না। তবে আমাদের একসঙ্গে বসে এর সমাধান করতে হবে।’
ইউনূস আরও বলেছেন, ‘এটা কোনো নতুন বিষয় না। এটা খুবই পুরাতন বিষয়। আমরা এ বিষয়ে একাধিকবার কথা বলেছি। পাকিস্তান শাসন আমলে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যখন আমরা সবাই চেয়েছিলাম এ চুক্তি চূড়ান্ত হোক, তখন ভারত সরকারও এর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এর জন্য রাজি ছিল না। আমাদের এর সমাধান করতে হবে।’
২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা সফরে এসেছিলেন। তখন বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার রাজ্যের পানি সংকটের কথা উল্লেখ করে এ চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানান।