প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০০ এএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪৩ এএম
ছবি : সংগৃহীত
নিকারাগুয়ায় আটক ১৩৫ রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও একটি ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সুলিভান জানান, প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার সরকার বহু বছর যাবৎ মানবাধিকার দমনপীড়নের অভিযান চালাচ্ছে। যার শিকার হয়েছে হাজার হাজার নিকারাগুয়ান। তাদের মধ্যে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরাও ছিলেন।
সুলিভানের মতে, বন্দিদের প্রতিবেশী গুয়াতেমালায় পাঠানো হয়েছে। আর সেখান থেকে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হতে পারে।
গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট বার্নার্ডো আরেভালোর কার্যালয় জানিয়েছে, বন্দি নিকারাগুয়ানদের বহনকারী একটি বিমান বৃহস্পতিবার ভোরে গুয়াতেমালায় এসে পৌঁছেছে।
এক বিবৃতিতে সুলিভান বলেছেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন গঠন ও তাদের ধর্মপালনের মৌলিক অধিকারগুলো শান্তিপূর্ণভাবে চর্চার জন্য কাউকে কারাগারে রাখা উচিত নয়।’
তিনি জানিয়েছেন, ওর্তেগা, তার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী রোজারিও মুরিলোর ‘কর্তৃত্ববাদী শাসনের’ জন্য রাজনৈতিক বন্দিদের হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এজন্যই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ‘কেবল মৌলিক স্বাধীনতা অনুশীলনের জন্য নির্বিচারে নাগরিকদের গ্রেপ্তার ও আটকে রাখা অবিলম্বে বন্ধ করতে’ নিকারাগুয়াকে এ আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও সমাজমাধ্যম এক্সের একটি পোস্টে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি পোস্টে লিখেছেন, ‘নিকারাগুয়ানরা তাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ও নিজ দেশে নিপীড়ন থেকে মুক্তি পাওয়ার অধিকার রাখেন।’