সিএনএনকে কমলার সাক্ষাৎকার
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ২১:০৯ পিএম
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ডানা বাশকে গত বৃহস্পতিবার দেওয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখন দিনবদলের সময়। বৃহস্পতিবার জর্জিয়ার সাভানাহতে সাক্ষাৎকারটি রেকর্ড করা হয়। ওই সাক্ষাৎকারে তার রানিং মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী টিম ওয়ালজও ছিলেন। যৌথ এই সাক্ষাৎকারে সরকার, রাজনীতি, অর্থনীতি, সীমান্তনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, জ্বালানিনীতি, অভিবাসনসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে। কমলা আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি নির্বাচিত হলে সব মার্কিন নাগরিকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করবেন। এই অঙ্গীকারের আলোকে সাক্ষাৎকারে কমলা বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে তার মন্ত্রিসভায় একজন রিপাবলিকানকে রাখবেন। তবে এই মুহূর্তে কোনো নির্দিষ্ট রিপাবলিকানের নাম তিনি বলতে পারছেন না।
অভিবাসনসহ কিছু বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তনের ব্যাখ্যা
দেন কমলা। তবে তিনি উল্লেখ করেন, এসব বিষয়ে তার রাজনৈতিক মূল্যবোধে কোনো
পরিবর্তন আসেনি। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে করা প্রশ্নে কমলা বলেন, তিনি
দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও আত্মরক্ষার সক্ষমতার প্রতিশ্রুতিতে
অটল থাকবেন। তিনি
এ-ও বলেন, অন্যদিকে অনেক নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একটা চুক্তি
করতে হবে। এই যুদ্ধ অবশ্যই শেষ হতে হবে। জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবশ্যই একটি
চুক্তি করতে হবে।
ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে মার্কিন নীতিতে
কোনো পরিবর্তন আসবে কি না,
সে ব্যাপারে কিছু বলেননি কমলা। গত জুলাই মাসের শেষদিকে
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন কমলা হ্যারিস। এই
বৈঠকে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জোরালো বক্তব্য দেন। কমলা বলেন, ‘এই দুঃখজনক ঘটনাগুলোর আমরা মুখোমুখি হতে পারি না। আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি
না।’
নির্বাচিত হলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম দিনের কাজ কী হবে, সে
বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল কমলার কাছে। জবাবে কমলা নির্বাহী আদেশ জারি করার মতো
কোনো নির্দিষ্ট কর্মতালিকা দেননি। বরং কমলা উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের
অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম
ও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলোর একটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সমর্থন
দেওয়া, শক্তিশালী করা। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্পের প্রতি ইঙ্গিত করে কমলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একজন
প্রেসিডেন্ট পেয়েছিল,
যার এজেন্ডা ছিল দেশের বৈশিষ্ট্য ও শক্তিকে খর্ব করা।
জাতিকে বিভক্ত করা। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এখন
দিনবদল করতে প্রস্তুত। কমলা বলেন, তিনি মার্কিন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, তিনি
জাতি-লিঙ্গ-নির্বিশেষে সব আমেরিকানের জন্য এই মুহূর্তে এই কাজটি করার জন্য সেরা
ব্যক্তি।