টিকাদান কর্মসূচি
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১৪:৪৮ পিএম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৫৬ পিএম
পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা ডাক্তার পরীক্ষা করার সময় এক ফিলিস্তিনি শিশু তাকিয়ে রয়েছে। ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে দেইর আল-বালাহের আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল থেকে তোলা। ছবি : সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শিশুদের প্রথম ধাপের পোলিও টিকা দিতে তিনদিনের মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচওর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন জানিয়েছেন, এই টিকাদান কর্মসূচিতে গাজা উপত্যকাজুড়ে প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, উপত্যকাটির মধ্য, দক্ষিণ ও উত্তর অংশে তিনটি পৃথক ধাপে এ কর্মসূচি পরিচালিত হবে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। প্রতি ধাপে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা অবধি টানা তিনদিন যুদ্ধবিরতি দেওয়া হবে। তবে যেহেতু টিকাদান কর্মসূচিতে একটু বেশি সময়ও লাগতে পারে তাই প্রয়োজনে প্রতিটি অঞ্চলে এ যুদ্ধবিরতি চতুর্থদিন পর্যন্ত বাড়ানোর বিষয়ে একটি চুক্তি করা হয়েছে।
পিপারকর্ন বলেছেন, ‘প্রথম টিকা নেওয়ার চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় টিকা নিতে হবে।’
গাজায় ১০ মাস বয়সি এক শিশু টাইপ-২ পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আংশিকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছে। গত ২৩ আগস্ট জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। গাজায় গত ২৫ বছরের মধ্যে এটিই প্রথম পোলিও রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা। জাতিসংঘের এ বিষয়ে জানানোর প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় গাজায় শিশুদের পোলিও টিকা দিতে যুদ্ধবিরতির এ চুক্তিটি হলো।
ইতিমধ্যে গাজায় নভেল ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন টাইপ ২ (এনওপিভি২) এর প্রায় ১২ লাখ ৬০ হাজার ডোজ বিদ্যমান রয়েছে। উপত্যকাটিতে আরও চার লাখ ডোজ দ্রুতই এসে পৌঁছাবে।