প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৪ ২০:২১ পিএম
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে ইরান জানিয়েছে, গত মাসে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে ‘অমার্জনীয়’ অপরাধ করেছে ইসরায়েল। এ জন্য ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার ইরানের আছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি গত শুক্রবার ব্রিটিশ ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও স্টেফান
সেজর্নের সাথে পৃথক টেলিফোনালাপ করেন। ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক ল্যামিকে বলেছেন, ‘ইসলামী
প্রজাতন্ত্র যুদ্ধের বিস্তার এবং অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির পক্ষে নয়, তবে
ইহুদিবাদী শাসকের অপরাধমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া জানাতে ইরানের
নির্দিষ্ট অধিকার আছে। তা থেকে তেহরান মোটেও পিছপা হবে না।’
সেজর্নের সাথে কথা বলার সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই
হত্যাকাণ্ডকে ইরানের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ওপর বড় আঘাত বলে উল্লেখ করেছেন।
আগ্রাসী ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার ইরানের আছে বলেও জোর দিয়েছেন তিনি। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া ৩১
জুলাই তেহরানে একটি টার্গেট কিলিং অপারেশনে নিহত হন। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট
মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইরানের রাজধানীতে ছিলেন। ফরাসি কর্মকর্তাকে আরাঘচি ইসরায়েলের চলমান নীতি এবং কর্মকাণ্ডের দিকে ইঙ্গিত
করেছেন। যার উদ্দেশ্য উত্তেজনা তীব্র করা এবং অঞ্চলজুড়ে অস্থিতিশীলতা প্রসারিত
করা। তিনি ফ্রান্স এবং অন্যান্য পশ্চিমা পক্ষগুলোকে তেল আবিবকে তার উত্তেজনা
বৃদ্ধিমূলক পদক্ষেপ চালিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসির কানানি জানিয়েছেন, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়িত্ব চায়। কিন্তু আগ্রাসনকারীকে শাস্তি দিলেই সেটা সম্ভব। কানানি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরায়েলকে সাহায্য করা বন্ধ রাখে এবং আগ্রাসনকারীকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে। ইরান এর আগে দাবি করে, হামাস নেতা হানিয়াকে হত্যা করার দায় ইসরায়েলের। ইসরায়েল অবশ্য এই দায় স্বীকার করেনি।
সূত্র
: তেহরান টাইমস