প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪ ২০:৩৯ পিএম
সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধের পরও পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে (বিবিসি)
ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট একটি স্বতঃপ্রণোদিত
মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানিকালে ওই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা পুলিশের ভূমিকার
সমালোচনা করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর হত্যাকাণ্ড নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি
জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে। ত্রুটিপূর্ণ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং এফআইআর দাখিল করা নিয়েও পুলিশকে ভর্ৎসনা
করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে সিবিআইকে মামলার তদন্তকাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ৫ সেপ্টেম্বর। সর্বোচ্চ আদালতের অনুরোধে দিল্লির
এইমস হাসপাতালসহ বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হলেও
পশ্চিমবঙ্গের আন্দোলনকারীরা তা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার
রাতে আন্দোলনকারীদের সর্বোচ্চ সংস্থা জেনারেল বডির সদস্যরা এক সভা করেন।
তারা ঘোষণা দিয়েছেন, ধর্ষণ ও হত্যায় যুক্ত
ব্যক্তিদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। তাদের দাবি,
এত বড় এক ঘটনায় মূল হোতাদের শনাক্ত করতে পারছে না সিবিআই। তদন্তে
এখনও দেরি হচ্ছে। আগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা
হোক। এরপরই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার সিবিআই আরও সন্দেহভাজন ছয়জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার
আবেদন করেছে আদালতে। এ ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালের সদ্যপদত্যাগী অধ্যক্ষ
সন্দীপ ঘোষ,
চারজন মেডিকেল শিক্ষার্থী ও একজন সন্দেহভাজনদের আত্মীয়। ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গতকাল আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার
দায়িত্ব নিয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। নিয়োগ করা হয়েছে ১৫০ সিআইএসএফ জওয়ান। তারা
হাসপাতালের ২৬টি স্থানে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবেন। ৯
আগস্ট ভোরে আর জি কর হাসপাতালের চারতলায় এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে।
এরপর থেকেই চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি শুরু হয়। কলকাতা হাইকোর্ট ১৩ আগস্ট এ
ঘটনার মামলার তদন্তভার কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে দিয়েছে। ১৪
আগস্ট থেকে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। সূত্র : এনডিটিভি