প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৪ ২২:০০ পিএম
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৪ ২২:০২ পিএম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার নিশ্চিয়তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশটিতে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে নয়া দিল্লির লাল দুর্গ থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় হামলার শিকার হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে ১৪০ কোটি ভারতীয় উদ্বিগ্ন। দিল্লি সব সময় বাংলাদেশের উন্নয়নের শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা আশা করি, সেখানে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। ভারত চায় হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গেল ৫ আগস্ট হেলিকপ্টরে করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তার টানা ১৫ বছরের শাসনকালের অবসান হয়। সরকার পতনের আগে সপ্তাহব্যাপী চলা সংঘর্ষ-সংঘাতে অন্তত সাড়ে চারশ মানুষ নিহত হন। এই সময়ে হামলার শিকার হন অনেক হিন্দু।
গেল সপ্তাহে ঢাকার রাজপথ আবারও চলে গিয়েছিল বিক্ষোভকারীদের দখলে। শত শত মানুষ হিন্দুদের ওপর চালানো হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ। ঐতিহ্যগতভাবেই তারা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দলকে সমর্থন জানিয়েছে আসছে।
দেশ থেকে পালিয়ে বর্তমানে ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। অন্য কোন রাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় না চাওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন। এরই মধ্যে নোবলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের হিসাবে, ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫২ জেলার হিন্দুরা হামলার শিকার হয়েছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন ড. ইউনূস।