প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৪১ পিএম
আইএমএফের ৭ বিলিয়ন ডলারের তহবিল
পাওয়ার কথা আগামী মাসে। কিন্তু ঋণের কিস্তি পাওয়ার শর্তের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
গতকাল চীন সরকারের কাছে ঋণ প্রোফাইলিংয়ের আবেদন জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে পাকিস্তানভিত্তিক
সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ইতোমধ্যে চীন, সৌদি আরব, সংযুক্ত
আরব আমিরাতের মতো দেশের সঙ্গে ২৭ বিলিয়ন ঋণের প্রোফাইলিং সম্পন্ন করেছে। ঋণ প্রোফাইলিংয়ের
মাধ্যমে আগামী ৩৭ মাসের মধ্যে পাকিস্তান আইএমএফের বেইল আউট প্যাকেজ সুবিধা পাবে।
ইসলামাবাদ চীনের কাছে পাঠানো চিঠিতে
বেইজিং থেকে আমদানি করা কয়লার প্রজেক্টকে লোকাল প্রজেক্টে রূপদানের আবেদন জানিয়েছে।
যদি তা করা সম্ভব হয় তাহলে পাকিস্তানের শক্তি খাতে ১৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ দেখানো সম্ভব
হবে এবং ঋণ শোধের প্রামাণ্যতা নিশ্চিত হবে। পাকিস্তানের অ্যাসেম্বলিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রী
শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘চীনের কাছে আমি চিঠি দিয়েছি। ঋণ প্রোফাইলিং এখন সাধারণ মানুষের
প্রসঙ্গ হয়ে উঠেছে।’
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুসারে,
পাকিস্তানের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় দেশটির অর্থনীতিতে সংস্কার আনতে হবে।
এক্ষেত্রে ঋণের মেয়াদের সময় বাড়ানো, বিনিয়োগের মাধ্যমে ঋণ শোধ এবং ঋণ শোধের সময় বাড়ানোর
বিষয়ে সমঝোতার পথে যেতে হবে। পাকিস্তানকে এ মুহূর্তে একাধিক ঋণের ধকল সামলাতে হচ্ছে।
মুদ্রার মানও কমতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ঋণ প্রোফাইলিং করার মাধ্যমে পাকিস্তানের
মুদ্রাস্ফীতির সংকট এড়ানো যাবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার কেবিনেট মিটিংয়ে এও
নিশ্চিত করেছেন, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং তার এই ধারণাকে সমর্থন দিয়েছেন। তারা স্থানীয়
কয়লা ব্যবহার করে শক্তি খাতের আমদানিনির্ভরতা কমাতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি চীনের
রাষ্ট্রপতিকে চিঠিতে জানিয়েছি আমাদের সঙ্গিন মুহূর্তে যেন সহযোগিতা করা হয়। আমদানি
কমিয়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অন্তত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব
হবে।’
সম্প্রতি পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী
মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চীন সফরকালে সফল মিটিং করতে পেরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের
ক্রমবর্ধমান ঋণ সংকট মোকাবিলায় তারা বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন।
বক্তব্যের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বিষয়টিও তুলে
ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের শক্তি খাতে কেউ বিনিয়োগ করতে চাচ্ছিলেন না। কিন্তু চীন বরাবরই
আমাদের সহায়তার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং সিপিইসি চালু করে।’
আপাতত পাকিস্তান মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপ
হিসেবে ঋণ এবং সক্ষমতা ব্যয়ের ওপর নির্ভর করছে। আগামী ১৪ আগস্ট থেকে পাকিস্তান চীনা
নাগরিকদের ওপর ভিসা ফি তুলে নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে শক্তি খাত, খনিজ
আহরণসহ প্রযুক্তিগত নানা উদ্যোগের বিষয় নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। সূত্র : দ্য ডন