প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৩৯ পিএম
সম্প্রতি ইসরায়েলি কারাগারে এক নারী ধর্ষণের ঘটনায় ৯ ইসরায়েলি সেনার
বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই ঘটনার পর ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থিরা নেসেট কারাগারে
হামলা চালায় এবং আটককৃত সেনাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। ফিলিস্তিনি ওই নারী ধর্ষণের পর
নতুন করে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের নির্মম চিত্র উঠে আসতে শুরু করেছে। ইসরায়েলি
কারাগারগুলোর মধ্যে সদে তেইমান নামে কারাগারটি সবচেয়ে বীভৎস নির্যাতন করে বলে অভিযোগ
রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি বেশ
কজন নির্যাতিতের জবানবন্দি উঠে আসে। বন্দিদের নির্যাতনের জন্য লোহার দণ্ড, কুকুর লেলিয়ে
দেওয়া, বৈদ্যুতিক শক, সিগারেটের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো নির্যাতন রয়েছে।
ওমার মাহমুদ আব্দেল কাদের সামুদ নামে এক ব্যক্তি সদে তেইমানে ৪২ দিন
আটক ছিলেন। তিনি জানান, ওই কারাগারে ‘ডিস্কো’ নামে একটি ঘর রয়েছে। তিনি জানান, ‘এক
সেনা আমাকে ডিস্কো রুমে নিয়ে যায়। আমার জামাকাপড় খুলে হাতকড়া বেঁধে মেঝেতে শুইয়ে দেয়।
তারপর ওরা আমার শরীরে ঠান্ডা পানি ঢেলে আমার পাশে জোরে ফ্যান চালিয়ে রাখে। এভাবেই আমাকে
কয়েক দিন নির্যাতন করা হয়। আমাকে কিছু খেতে দেওয়া হতো না। ওখানে শুয়েই আমাকে পেশাব
করতে হতো। নোংরা অবস্থায় শুয়ে থাকতাম।’
তিনি আরও জানান, ‘সেনারা আমাকে ইচ্ছামতো মারত। একবার ভেবে দেখুন।
আপনি নগ্ন এবং আপনার হাতে হাতকড়া। ছয়-সাতজন সেনা আপনাকে লাথি মারছে। মেরে ওরা আমাদের
উঠে বসতে বলে। দুর্বল শরীরে তা করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু কথা না শুনলে ওরা আরও বেশি
অত্যাচার করে। দুঃস্বপ্নের ৪২ দিন বোধহয় শেষ হবে না ভেবেছিলাম।’
এ ছাড়া সদে তেইমানে থাকা এক ডাক্তারও জানান, ‘অনেক বন্দির হাত পুরোপুরি
অকেজো হয়ে পড়েছে। হাতকড়া এত শক্ত করে বাঁধা হয় যে নড়ার উপায় থাকে না।’ বিচারবহির্ভূতভাবে
অনেককে আটক করা হয়। কোনো তদন্ত করা হয় না। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চাপে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কিছুটা হলেও সতর্ক হতে শুরু করেছে। তবে সম্প্রতি ইসরায়েলি কারাগারে
ডিস্কো রুম এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। সূত্র : মিডল ইস্ট আই