প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪ ০৯:৩৪ এএম
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৪ ১০:৪৩ এএম
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমেরিকা ও ইসরায়েলের মৃত্যু কামনা করে স্লোগান দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) তিনি দেশটির পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে এ কথা বলেছেন।
পেজেশকিয়ান নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও দেশে সামাজিক স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে ৫ জুলাই তিনি আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন।
বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মধ্যপন্থী পেজেশকিয়ান দেশটির পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে বলেছেন, ‘মর্যাদা, প্রজ্ঞা ও রাষ্ট্রীয় সুবিধার ওপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্বের সঙ্গে গঠনমূলক ও কার্যকর মিথস্ক্রিয়া চালিয়ে যাব।’ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে।
মঙ্গলবারের শপথগ্রহণ করার সময় প্রেজশকিয়ান আরও বলেছেন, ‘আমার সরকার কখনো ধমকি ও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। আমাদের সামনে চাপ ও নিষেধাজ্ঞা কাজ করে না…। আর ইরানী জনগণের সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বলা উচিত। যারা শিশু হত্যা করে এমন অস্ত্র সরবরাহ করে তারা মুসিলমানদের মানবতা শেখাতে পারে না। আমেরিকার মৃত্যু হোক। ইসরায়েলের মৃত্যু হোক।’
ইরানের ফিলিস্তিনি মিত্র হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের পাশাপাশি ইয়েমেনের তেহরান সমর্থিত হুতি আন্দোলন ও লেবাননের হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করে ইরান। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে একদিকে গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত ও অন্যদিকে লেবাননে ইরানের মিত্র হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের আন্তঃসীমান্ত যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। গাজায় ইসরায়েলি অপরাধকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে দেশটি।
পশ্চিমাদের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রয়েছে ইরানের। পেজেশকিয়ানের বিজয়ের ফলে এ বৈরী সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলার আশা জেগেছিল। যা বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে দেশটির পরমানু অচলাবস্থা নিরসনের জন্য পথ খুলে দিতে পারতো। কিন্তু পেজেশকিয়ান এমন এক সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। তাই এ আশার প্রদীপ নিভে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স