প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৪:৩০ পিএম
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৪:৪৩ পিএম
খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলার কারণে কারাগারে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত এক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে রয়েছে।বুধবার (২৪ জুলাই) অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে তোলা। ছবি : সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বোমা হামলার ফলে ফিলিস্তিনিদের কাছে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা অবশিষ্ট নেই। তাই শেষমেশ গাজার একটি পরিত্যক্ত কারাগারে আশ্রয় নিয়েছে বাস্তুচ্যুত শত শত ফিলিস্তিনি; যা নির্মিত হয়েছিল হত্যাকারী ও চোরদের রাখার জন্য।
ফিলিস্তিনের নাগরিক ইয়াসমিন আল-দারদাসি জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের একটি জেলা থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখান থেকে সেন্ট্রাল কারেকশন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফ্যাসিলিটির দিকে যাওয়ার পথে তিনি ও তার পরিবার আহত লোকদের পাশ কাটিয়ে এসেছেন। তাদের সাহায্য করতে পারেননি । তারা পরিত্যক্ত কারাগারে যাওয়ার আগে একটি গাছের নিচে এক দিন কাটিয়েছেন। তারা বর্তমানে কারাগারের একটি প্রার্থনা কক্ষে বাস করছেন; যা তাদের কেবল প্রখর রোদ থেকে সুরক্ষা দেয়। এর বেশি কোনো সুবিধা দেয় না।
দারদাসির স্বামীর একটি কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু তাকে এখানে কোনো ধরনের তোশক বা কম্বল ছাড়াই থাকতে হচ্ছে।
অনেক ফিলিস্তিনির মতো তিনিও আবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার ভয় প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা এখানেও থিতু নই।’
সারিয়া আবু মুস্তাফা নামে আরেক ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা সামরিক ট্যাংক অভিযান চালাতে আসছে বিধায় তাকে ও তার পরিবারকে নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে যেতে বলেছিল।
সারিয়া বলেছেন, ‘আমরা সঙ্গে করে কিছু নিয়ে আসতে পারিনি।’ বাইরে বালুকাময় মাটিতে ঘুমানোর পর ও অনেক পথ হেঁটে এসে তারাও কারাগারে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজার প্রতি ১০ জন ফিলিস্তিনির মধ্যে নয়জনই বাস্তুচ্যুত।
ফিলিস্তিনির অনেকেই গত ৭ অক্টোর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তারা বলেছেন, ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ থেকে কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বোমাবর্ষণের ফলে গাজার অনেকটা অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৩ জুলাই আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী বোমা হামলা করেছে। এতে অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অথচ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীই আক্রান্ত এলাকাটিকে একটি নির্ধারিত মানবিক জোন হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
এদিকে ইসরায়েল বলেছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে তারা বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার চেষ্টা করছে।