প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৬:২৪ পিএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৮:০২ পিএম
ইসরায়েলি হামলার পর উদ্ধারকৃত জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন এক নারী। গত জুনে দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি থেকে তোলা। ছবি : সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি অঞ্চলে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর ধারাবাহিক বিমান হামলায় ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১০০ জনের বেশি । শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে এ হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে ওয়াফা ও আলজাজিরা জানিয়েছে।
স্থানীয় উৎসগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো আল-মাওয়াসি অঞ্চলকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে। যার ফলে অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে সিভিল ডিফেন্সের সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মী উভয়ই রয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধ্বংস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রথমিক তদন্তে আল-মাওয়াসি এলাকায় এক নতুন ইসরায়েলি গণহত্যার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
উদ্ধারকর্মী ও ত্রাণ সরবরাহকারী দলগুলো আক্রান্ত এলাকায় হতাহতদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজার স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলায় হতাহতদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গাজার হাসপাতালগুলোকে।
যুদ্ধ শুরুর পর আল-মাওয়াসিকে একটি নিরাপদ মানবিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। আর ফিলিস্তিনিদের এই অঞ্চলে সরে আসতে বলেছিল। কিন্তু এখন এই অঞ্চলকেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৩৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৮৮ হাজার ২৯৫ ফিলিস্তিনি।
এ ছাড়াও ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নিখোঁজ ব্যক্তিরা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে। আর মরদেহগুলো তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।