আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২২ ১৮:১৪ পিএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২২ ১৮:৫১ পিএম
পেলোসির দক্ষিণ কোরিয়া সফর
চীনের কড়া প্রতিক্রিয়ার পরেও থামেনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর। চরম উত্তেজনার মধ্যে বিতর্কিত তাইওয়ান সফর শেষে আজ দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেন তিনি। সেখানে দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পেলোসি ও তার দল। খবর ডয়চে ভেলের।
তবে এ সময় পেলোসি তাইওয়ান সফর কিংবা তা নিয়ে চীনের প্রতিক্রিয়ায় কোনো মন্তব্য করেনি।
আজ বৃহস্পতিবার পেলোসি ও তার দল দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদের স্পিকার কিম জিন-পিয়োর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরবর্তীতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দেশটির অসামরিক সীমান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
কিমের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ১৯৫০-৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধে সিউল ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ ছাড়া দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আইনী প্রচেষ্টার দিকে মনোযোগী হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। যুক্তরাষ্ট্র তার এ মিত্র দেশে বর্তমানে ২৮ হাজার পাঁচশ মার্কিন সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।
এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পেলোসি বলেন, ‘প্রয়োজন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে যে বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বহু বছর আগে, তা এখন ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে রূপ নিয়েছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদের স্পিকার কিম জিন-পিয়ো জানান, এ সফরে পেলোসি উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
কিম এবং পেলোসি দুজনেই প্রতিরোধ ও কূটনীতির মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে কোরিয়া সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে বলেও জানান কিম।
পেলোসির প্রতিনিধিদলের এশিয়া সফরের পরবর্তী দেশের তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া।
অন্যদিকে পেলোসির এ সফরকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে নিন্দা জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
তার এ সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের স্থল, জল ও আকাশসীমায় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। এ ছাড়া তাইওয়ানের জলসীমানা ঘেঁষে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও উৎক্ষেপণ করেছে তারা।
অন্যদিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস রোনাল্ড রিগান নৌবহর তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক মুক্ত ও অবাধ রাখতে ইউএসএস রোনাল্ড রিগান ও তার বহর নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে ফিলিপাইন সাগর হয়ে তাইওয়ান জলসীমার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
প্রবা/এনএস/জেআই